ঋভু ও শুভম সম্পূর্ণ দুই ধরণের দুটো ছেলে মেয়েকে তাদের মায়েরা এক জায়গায় এনে ফেলে দিল। কারণ? মা রুহী ও লিলি ছোটবেলার বান্ধবী আর ছেলেবেলায় তারা একে অন্যকে কথা দিয়েছিল বড়ো হয়ে নিজেদের ছেলেমেয়েদের বিয়ে দেবে। একথা জানতে পেরে ঋভু আর শুভম দুজনেই বেঁকে বসল। মায়েদের মান্ধাতার আমলের প্রতিশ্রুতিকে আমল না দিয়ে নিজেরা হাত মেলালো। কিছুতেই এমন কান্ড ঘটতে দেয়া যাবে না! নানান হাস্যকর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে ঘটনা এগিয়ে যেতে থাকে। ঋভু ও শুভম একসময়ে দুজনের ভালো বন্ধু হয়ে উঠল। কিন্তু পরস্পরকে খোঁচানোর অভ্যাসটা ছাড়তে পারল না। দুজনেই জীবনে বড়ো ধরণের ধাক্কা খেয়েছে, সেটাও তাদের বন্ধুত্বকে আরো গাঢ় করতে সাহায্য করল। কিছু বুঝবার আগেই হুট করে একদিন দুজনের সম্পর্কের সমীকরণটা বদলে গেল। কিন্তু পারস্পারিক ভুল বোঝাবুঝির কারণে দুজনে ছিটকে সরে গেল দুই দেশে। দুজনে কঠিন প্রতিজ্ঞা করল ভুলে যাবে অপরজনকে, কিছুতেই মনে রাখবে না তাদের এক ঝলকের ঘনিষ্ঠতাকে। কিন্তু ভুলতে চাইলেই কি ভোলা যায়? মনের এক গোপন করে দুজনে লালন করতে থাকে দুজনকে। প্রবল অনিচ্ছাসত্ত্বেও। দেড় বছর পরে কানাডার মাটিতে ভাগ্য ওদের আবারো অপ্রত্যাশিতভাবে পরস্পরের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিল। কী করবে এখন ঋভু আর শুভম? কী হবে ওদের পরিণতি?
তাবাসসুম নাজের জন্ম ৩০ শে অক্টোবর। স্কুল কলেজ জীবনে টুকটাক লেখালেখি করতেন দেয়াল পত্রিকায়। ১৯৯৪ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এম বি বি এস পাশ করবার পর প্রবাস জীবন যাপন করছেন, বাংলা লিখবার আর সুযোগ হয়নি। হঠাৎ ২০১৭ সাল থেকে নিজের ভেতরে প্রচন্ড তাগিদ অনুভব করতে থাকেন ফের কলম ধরবার। সে তাগিদ থেকে নিজের জীবনের ছোট ছোট ঘটনা নিয়ে রম্য রচনা লিখতে আরম্ভ করেন ফেসবুকে নিজের ওয়ালে। একসময়ে সন্ধান পান ফেসবুকভিত্তিক সাহিত্য গ্রুপ পেন্সিলের। নিয়মিতভাবে সেখানে লেখা দিতে থাকেন তিনি--- বিদেশী রূপকথার অনুবাদ, প্রবন্ধ, রম্য রচনা। এরপর কাকতালীয়ভাবে ঢুকে পড়েন গ্রীক মিথলজির জগতে। গ্রীক দেবদেবীদের নিয়ে লিখতে গিয়ে হঠাৎ করে তাদের নিয়ে উপন্যাস লিখবার আইডিয়া পেয়ে যান। পরিণতিতে তার প্রথম উপন্যাস--- হেডিসের রাজ্যে। হেডিসের রাজ্যে ছিল কিশোর উপন্যাস। এরপর বড়দের জন্য লিখবার ইচ্ছা থেকে পেয়ে যান পরবর্তী উপন্যাসের প্লট--- বিবাহ বিভ্রাট অথবা ভালোবাসা। এবারে তিনি নিয়ে এলেন বড় আঙ্গিকের উপন্যাস--- রুদাবা।