বিশেষ কোনো কিছু ভেবে প্রখ্যাত নারীবাদী তাত্ত্বিক, কথাসাহিত্যিক, সর্বজনপরিচিত সিমোন দ্য বোভোয়া'র এই ছোটো বইটি অনুবাদ করেছিলাম এমনটা নয়। চলচ্চিত্র আমার চির আগ্রহের বিষয় বলেই, অন্য বই খুঁজতে গিয়ে আন্তর্জালে এই রচনাটি পাই প্রায় বছর দুই আগে। প্রথম পাঠের পর পড়ে থাকে, অনেকদিন। ২০২২ বছরটি ব্যক্তিগত নানা কারণে বিপর্যয়মূলক কোনো সৃজনশীল মৌলিক লেখায় মন দেয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছিলো। তখন এই লেখার কথা মনে পড়ে। মূল রচনায় ব্রিজিত বার্দোর অনেকগুলো পূর্ণপৃষ্ঠা ছবি ছিলো। আমরা আমাদের ছোটো প্রচেষ্টায় ছবি কিছু কমিয়েছি, মূল রচনায় আলোচিত চিত্রনির্মাতা, অভিনেতা এবং চলচ্চিত্র সম্পর্কে কিছু টাকা তৈরির চেষ্টা করেছি সম্ভাব্য পাঠকের সুবিধের কথা ভেবে। চলচ্চিত্র সম্পূর্ণ অর্থেই একটি বাণিজ্যিক মাধ্যম। জঁ ককতোর সেই অলীক বাসনা সফল হয়নি, লেখার কাগজের মতো সস্তা হয়নি চলচ্চিত্রের কাঁচামাল। পয়সা উপার্জনের এই চলচ্চিত্র নামক ব্যবস্থাটি নারীকে কেমন করে বিবেচনা করে, কতো বিচিত্রভাবে ভেঙেচুরে উপস্থাপন করতে চায়- এটিই সিমোন দ্য বোভোয়া রচিত ব্রিজিত বার্লো অ্যান্ড দ্য ললিতা সিনড্রোম- বইয়ের কেন্দ্রকথা। ইংল্যান্ডে প্রথম প্রকাশ করেছিলেন 'আন্দ্রে ওয়াশ লিমিটেড' এবং 'ওয়েইনফিল্ড এবং নিকোলসন লিমিটেড', ১৯৬০ সালে। নভেম্বর ১৯৬০ সালের দ্বিতীয় সংস্করণের অনুবাদ করেন বেরনার্ড ফ্রেডম্যান। আমাদের হাতের বইটি ১৯৬২ সালের প্রথম 'ফোর স্কয়ার' সংস্করণ। পাহাড়তলী কলেজের অর্থনীতির শিক্ষক পলি লোধ অনুবাদ চলাকালে কিছু আন্তরিক আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন, এই অবসরে তাঁকে কৃতজ্ঞতা জানাই। বাংলাদেশের বিশিষ্ট প্রকাশক ‘মধুপোক’-এর কর্ণধার, প্রিয় বন্ধু আবুল খায়ের মোহাম্মদ আতিকুজ্জামান পাণ্ডুলিপিতে একবার চোখ বুলিয়ে একাধিক জরুরি পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি ধন্যবাদ বা কৃতজ্ঞতার অনেক ঊর্ধ্বে অবস্থান করেন। এইবার আমার অষ্টম বই, খড়িমাটি'র সাথে তৃতীয় কাজ। পাঠক, আপনার হাতে। অকিঞ্চিৎকর এই অনুবাদ খড়িমাটি'র জনক আবাল্য প্রিয়জন মনিরুল মনির আবারো নিজ হাতে তুলে নিয়েছেন- এই কারণে আমি আনন্দিত। যে-কোনো মতামত সাদরে গ্রহণীয়। সকল ভুলের দায় আমার। আমার বলার পালা ফুরালো, এইবার প্রিয় পাঠিকা, আপনার পালা- . সৈকত দে
Title
সিমন দ্য বোভেয়া : ব্রিজিত বার্দো এবং ললিতা সিনড্রোম
সৈকত দে একজন শক্তিমান কবি ও গদ্যকার। জন্ম নোয়াখালিতে, বেড়ে ওঠা চট্টগ্রামে। এ পর্যন্ত প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা-৯। যার মধ্যে ‘শৌখিন হস্তশিল্প’ প্রকাশিত হয়েছে ওপার বাংলা কোলকাতা থেকে। অনুবাদক হিসেবেও সৈকত দে পাঠক হিসেবে সু-পরিচিত।