সোভিয়েত মহাকাশ প্রকল্পের নেপথ্যের নায়কেরা (হার্ডকভার)

ফ্ল্যাপ থেকে-
মহাকাশে প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ স্পুৎনিক ওয়ান, মহাকাশে প্রথম প্রাণী লাইকা, মহাকাশে প্রথম মানুষ ইউরি অ্যালেক্সিবিচ গ্যগারিন, প্রথম নারী ভালেন্তিনা তেরেস্কোভা, তাঁদের বহন করা ভস্তক সিরিজের মহাকাশযানগুলো সম্পর্কে আপনারা সবাই জানেন। কিন্তু সোভিয়েতের এত বড় মহাকাশ প্রকল্পের পেছনে এক নায়ক ও তাঁর দুই সহযোগী রয়েছেন, যাঁরা তাঁদের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত স্পুৎনিক ওয়ান থেকে, মহাকাশে প্রথম মানুষ, প্রাণীসহ সমস্ত প্রকল্প পরিচালনা করেছেন।
১৯৯০ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার আগ পর্যন্ত ঘুণাক্ষরেও তাঁদের নাম-পরিচয় কোথাও প্রকাশ করেনি। নেপথ্যের সেই তিন নায়ককে নিয়েই এই বই।
মুখবন্ধ
মাতৃভাষা বাংলায় বিজ্ঞানবিষয়ক লেখা বেশ কঠিন একটি কাজ। কারণ সঠিক তথ্য বস্তুনিষ্ঠভাবে উপস্থাপনের জন্য প্রচুর গবেষণা করতে হয় এবং প্রয়োজনীয় তথ্যসূত্রের জন্য নানা ধরনের দুর্লভ কাগজপত্র, বই ইত্যাদি জোগাড় করতে হয়। ফলে আমাদের বিজ্ঞান বিষয়ে লেখকের সংখ্যা খুবই হাতেগোনা। এক্ষেত্রে একজন নবীন লেখকের আগমন বার্তা আমাদের জন্য দারুণ আশাব্যঞ্জক এবং আনন্দের সংবাদ।
জ্যোতির্ময় ধর একজন গুণী লেখক এবং ব্লগার। ‘নেপথ্যের নায়কেরা’ তাঁর প্রথম প্রকাশিত বই হলেও ইতোপূর্বে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকসহ বাংলা ভাষার সর্ববৃহৎ কমিউনিটি ব্লগ সামহোয়্যারইন ব্লগেও তাঁর প্রচুর লেখা প্রকাশিত হয়েছে এবং এখনও তা চলমান।
জ্যোতির্ময় ধরের প্রথম বইয়ের মুগবন্ধ লিখতে গিয়ে সামহোয়্যারইন ব্লগের সম্পাদক হিসাবে আমি দারুণ আনন্দিত এবং গর্বিত অনুভব করছি। জ্যোতির্ময় ধরের এই প্রয়াস শুধুই তাঁর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বা অর্জনকেই সমৃদ্ধ করবে না বরং বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান চর্চাকে আরও সমৃদ্ধি করবে। আমি বিশ্বাস করি, চমৎকার এই বই পাঠকসমাজে দারুণভাবে সমাদৃত হবে এবং জনপ্রিয়তা অর্জন করবে। পাশাপাশি আমার প্রত্যাশা থাকবে, বিজ্ঞানবিষয়ক প্রবন্ধ ও গ্রন্থ রচনায় লেখক তাঁর এই প্রয়াসকে অব্যাহত রাখবেন এবং সামনে পাঠকদের জন্য আরও বই নিয়ে হাজির হবেন। শুভকামনা।
মোজাদ্দেদ আল ফেসানী জাদিদ
সম্পাদক, সামহোয়্যারইন ব্লগ
ঢাকা, জানুয়ারি, ২০২৩