মিডফোর্ড হাসপাতালে এক অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশের বিস্তারিত জানা গিয়েছে। গতকাল তাকে প্রথমে এক পথচারী রাস্তায় খুঁজে পায়। কেউ বা কারা লেগুনা থেকে ফেলে গিয়েছে তাকে হানিফ ফ্লাইওভারের গোড়ায়। পড়নে ছিল লুঙ্গি আর ফুল হাতা শার্ট। পথচারী এই অজ্ঞান ব্যাক্তিকে প্রথম নিয়ে যায় ঢাকা মেডিকেলে, সেখান থেকে পরে নিয়ে আসে মিডফোর্টে... আমাদের ভূপরিসীমায় কোন না কোন প্রান্তে অহরহ ঘটে যাচ্ছে এমন সব ঘটনা। সেই ঘটনাগুলোই জন্ম দিয়েছে আইনউদ্দিন ঢালী নামক আমাদের মূল চরিত্রকে। তার চারপাশে সৃষ্ট হয়েছে আরো একাধিক কৌতূহলোদ্দীপক চরিত্র এবং তাদেরকে ঘিরেই ঘটে যাচ্ছে এমনসব অসংখ্য ঘটনা। লেগুনা রহস্যের সমাধান হবে কী? নাকি উন্মোচন হবে নতুন দিগন্ত? সব প্রশ্নের উত্তর দিতে হাজির হচ্ছে রোমাঞ্চের এই ক্রাইম থ্রিলার ‘আইনউদ্দিন’। পরিবার, ব্যক্তিগত জীবন, দাম্পত্য অস্থিতিশীলতার পাশাপাশি কর্মস্থল এবং নতুন নতুন মামলা মোকদ্দমা, মর্গ, রাজপথ, প্রভৃতি সব কিছুকে ছাড়িয়েও ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে এক অভেদ্য দেয়াল। সেই দেয়াল কি ভাঙতে পারবে আইনউদ্দিন ঢালী? নাকি সবটাই থেকে যাবে নতুন রহস্যের বেড়াজালে? আনন্দ কর কতখানি সহযোগীর ভূমিকা নেবে! নাকি নেবে না? সত্য ঘটনার আদলে উম্মোচিত হতে যাচ্ছে ভয়ংকর এক পরিক্রমা। পেঁচ খুলবে নাকি একের পর এক রহস্যের বেড়াজালে ঘুরতেই থাকবে? আইনউদ্দিন আসছে সকল প্রশ্নের উত্তর দিয়ে।
নিজেকে সাহিত্য ও আলোকচিত্রের আজীবন ছাত্র হিসেবে পরিচয় দেয়া শাহরিয়ার খান শিহাব নিয়মিত লেখালেখি ও কাব্যচর্চার পাশাপাশি নিয়োজিত রেখেছেন ছবি তোলার চর্চায়। পেশায়ও তিনি একজন আলোকচিত্রী। অধ্যয়ন করেছেন ঢাকার পাঠশালা―সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইন্সটিটিউটের ফটোগ্রাফির প্রফেশনাল প্রোগ্রামে। সেই প্রচেষ্টার ধারাবাহিকতায় লিখলেন আলোকচিত্রের ওপরে ‘আলোকচিত্রের প্রারম্ভ’ বইটি। এটি আলোকচিত্রের ওপর রচিত তাঁর প্রথম বই। শাহরিয়ারের জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকায়। তাঁর ‘গ্রিন টু ব্যারেন অ্যান্ড বিং’ শিরোনামের ফটোস্টোরিতে যেমন দেখা যায় কী করে বাংলাদেশের উখিয়ায় সংরক্ষিত বিশাল এক বনাঞ্চলকে উজাড় করে তৈরি করা হয়েছে কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির, একইভাবে তাঁর কাজে উঠে এসেছে সিলেটের ভোলাগঞ্জের পাহাড় কেটে পাথর উত্তোলনের করুণ এক ধ্বংসযজ্ঞের গল্প ‘ইরোশোনাল এক্সিস্টেন্স’। একইভাবে দেখা যায় কীভাবে এবং কেন চায়নার একটি এথনিক গ্রুপ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে ‘দ্য বেল ফ্রম কোল্ড মাউন্টেইন’ কাজে। প্রকৃতিকে খুব কাছে থেকে অনুভব করা শাহরিয়ার ক্যামেরা আর কলমের ভেতর কোনো পার্থক্য খুঁজে পান না বলেই হয়তো তাঁর লেখা গল্প, উপন্যাস ও কবিতায় যেমন উঠে আসছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক ঘটনা প্রবাহের গবেষণাধর্মী ইতিবৃত্ত, তেমনি তাঁর তোলা ছবি শাসক ও শোষণের, জীব ও জীবনের গল্প বলে যাচ্ছে অনবরত। তিনি বেশকিছুকাল ধরে লিখছেন জাতীয় পত্রিকাগুলোতেও।