একজন হতাশা আরেকজন হতাশকে গলা টিপে মারতে চাইলো-কণ্ঠ বেজে উঠলো তৃতীয়জনের। অথচ-লোকে জানে, সে ততটাই মৃত-বিস্মৃত... প্রতিটি গল্পের সেই যে শুরুর শুরু, এমন অমোঘ নিয়তি-অথবা শেষের শেষ বলে যে নিশ্চিত নিশ্চিন্তি-এমন উত্তরাধিকার আমাদের নেই। আমাদের গল্পরা মাঝঋতুতে আসে, সঙ্গে আনে হতাশাপুস্তক! ততদিনে অতিমৌন বৃক্ষের শরীর থেকে কিছু পাতা ঝরে গেছে, কিছু ছিঁড়ে নিয়ে চলে গেছে বেনামী হাতেরা। ছিঁড়ে গেছে সম্পর্ক-শার্টের বোতাম আর যাপনযোগ্য সহ-সমীকরণও! জীবন যদি ছুঁড়ে ফেলে দেয়-একজন অখিলেশ, কিংবা তার মৃত ও জীবিত বান্ধবেরা নিজেদেরই ছায়া দিয়ে অন্ধকার আঁকে। না থাকা চাকরির শোক, চলে যাওয়া প্রেম ও প্রেমিকার বিরহ কিংবা স্বরচিত কারাগারে কনভিক্ট ওভারসীয়ার সেজে অবশিষ্ট আয়ু ক্ষয় করার বিতৃষ্ণা-একদিন কিছুই আর স্পর্শ করে না। ফলে, আমি অখিলেশকে-অখিলেশ শমীককে কিংবা শমীক আমাকে জুয়ার দানে হেরে এসে যে যার কফিনে শুয়ে চিঠি লিখতে থাকি, আমাদেরকে পেরিয়ে চিরকালীন বসন্ত চলে যায়, মুখ তুলে তাকাই না আর! সেইসব চিঠিপত্র-একটি ডাকবাক্স যাকে বলি হতাশাপুস্তক, আর-আপনি পাঠক, নিঃশব্দে খুলুন। জানা থাকা ভাল, নিজেকে খুলতে হয় আলগোছে, যেন-পুরনো ব্যথারা বেজে না ওঠে...