বহুদিন পর একটা পূর্ণাঙ্গ লেখার জন্য কলম ধরতেই একাত্তর আর ‘তাহাদের’ কথা মনে ভেসে উঠলো প্রথম। নিয়মিত ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টোনো সময়ে বছরের শেষ সূর্য ডোবার আগে, সারা বছরের কত ঘটনা আর ছবির প্রকাশই তো থাকে। একাত্তর অথবা পঁচাত্তর, গত অর্ধশতাব্দীতে দোসরদের দ্বারা ঘটানো ঘটনার বদল আছে, কিন্তু স্বভাবের তেমন বদল নাই। তাদের ডালপালা কি বিচিত্র চরিত্র কত বিভৎস সব কৌশল নিয়ে মাঝে মাঝেই দুর্বল ছেদন দন্তের শক্তি, পরখ করে দেখে হতাশায় হয়রান হয়। চেনা মানুষেরা-কাছে দূরের বন্ধুরা এখন অন্যরকমভাবে জেগে উঠছে। খুব পাশে কোথাও বিচ্ছেদ-বিভেদের দেয়াল ভেঙ্গে দিয়ে, প্রকৃত কল্যাণ আর শান্তির পথে ঢল নেমেছে মানুষের। একজন কোরবান আলীর পরিবারের যে করুণ পরিণতি, তা শুধু কল্পনা আর কাহিনীর প্রয়োজনে নয়, প্রাকৃতিক বিচারে প্রাপ্য শাস্তির ছিটেফোঁটা মাত্র। কিছু মানুষ কি এই চিরসত্য নিয়ে এখনও শুধু গবেষণা করবে, তারা তা হৃদয়ের উপলব্ধিতে আনবে না? জয় হোক মুক্তমনা সাহসী মানুষের। শান্তির ধর্ম, ভালোবাসা, সত্য, উন্নয়ন, কল্যাণ ইত্যাদি শব্দের শুধু অর্থ জানা নয়Ñ প্রকৃত স্বাদ আর রস আস্বাদন করে, মনের-প্রাণের যত বাঁধা সকল কাঁটা ছিন্ন করে সুস্থ সুন্দর অসাম্প্রদায়ীক সমাজ নির্মাণে মানবতাবাদি মানুষেরা এগিয়ে যাবেই।