ভাঙা হাটের বেসাতির দ্বিতীয় পর্ব, প্রথম পর্বের চলমান কাহিনি। যেখানে মানবজীবন কখনো জড়ের ন্যায় স্থিরতায় আটকে যায় না। যদি মানুষ মনের সতেজতায় দেহের যৌবনের শৌর্যকে ধরে রাখতে পারে সেই জন্য হতাশার মতো দুরাচার থেকে দেহ মনের মুক্তি একান্ত কাম্য। ভাঙা হাটের বেসাতি গল্পে, হারু-হারানি এবং কাঙ্গাল চরণ ও অদৃষ্টারা জীবনযুদ্ধে এই হতাশাকে জয় করেই জীবন জোয়ারে নিজেদেরকে জয় করেছিল। কাজেই, জীবনযুদ্ধে জয়ী হতে হলে প্রথমে, আপন শক্তিকেই জাগ্রত করতে হবে। তাহলেই সাফল্য, বরণ মালা হয়ে কণ্ঠে ঝুলবে। গ্রন্থকুটির প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী শ্রদ্ধেয় আর. সি. পাল এর সহানুভূতিশীল সহযোগিতা ছাড়া উপন্যাসটির প্রকাশ আদৌ সম্ভব হতো না। এই জন্য আর.সি.পাল-দাকে আমি অন্তরের অন্তস্তল থেকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। সময়ের বিবর্তনে প্রকাশনা শিল্পে আর.সি.পাল একজন স্বনামধন্য ব্যক্তিত্ব। প্রকাশকের হাত ধরে লেখকের লেখনী শক্তি উন্মোচিত হয় পাঠক সমাজের কাছে। চিন্তাশীল মানুষের ভাবনা, বিষয়ের অনেক গভীর পর্যন্ত নিরীক্ষণের ক্ষমতা রাখে। কিন্তু সে নিরীক্ষণের বিষয়বস্তুর কারণিক তত্ত্ব ও তথ্য যদি অপ্রকাশিত থাকে তবে ভাবনাশীল ব্যক্তির সৃষ্টিশীলতা মূল্য পায় না। অর্থাৎ বিষয়ের আলোকে সমাজের কল্যাণে তা কাজে লাগে না। যা ব্যাবহারিক মূল্য পায় না, তা উৎকর্ষহীন হয়ে এমনিতেই হারিয়ে যায়। প্রকাশকগণ লেখকের বই উৎকর্ষ শক্তি প্রকাশ করে সমাজ ও জনকল্যাণে কাজ করে। সেক্ষেত্রে প্রকাশনা শিল্প সেবাধর্মী কর্মযজ্ঞ। আর এ যজ্ঞের পৌরোহিত্য করেন প্রকাশকগণ। আর.সি.পাল-দার গ্রন্থকুটির প্রকাশনী সেই পৌরোহিত্যের অগ্রপথিক। প্রকাশকগণ তাঁদের সৃজনশীল দৃষ্টি দিয়ে নতুন নতুন সৃষ্টিশীল লেখক খুঁজে তাদের লেখাগুলো প্রকাশ করে পাঠকের দুয়ারে পৌছে দেন। আমার এ উপন্যাস ভাঙা হাটের বেসাতি (দ্বিতীয় পর্ব) আর.সি.পাল দা, তাঁর গ্রন্থকুটির প্রকাশনীর মাধ্যমে প্রকাশের ব্যবস্থা করে আমাকে কৃতজ্ঞতার পাশে বেঁধে ফেলেছেন। আমি আর.সি.পাল-দার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু এবং তাঁর প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের উত্তরোত্তর শ্রীবৃদ্ধি কামনা করছি। শুভেচ্ছান্তে- সঞ্জয় কুমার দাস