পর্ব -১ আরে আংকেল আপনি এখানে? আচ্ছালামুয়ালাইকুম। সেদিন এয়ারপোর্টে পরে আপনাকে আমি অনেক খুঁজেছি, কিন্তু দেখিনি আর। জাহিদ কবীর ফিরে তাকালেন, ওয়ালাইকুম আচ্ছালাম। আর তিতলীর মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন। তাই নাকি? কিন্তু আমি যে তোমাকে দেখলাম একটা হংসের মতো ধবধবে গাড়ীতে হাসতে হাসতে তুমি দ্রুত হারিয়ে গেলে। ওমা, তুমি আমাকে দেখেছো, তাহলে ডাকোনি কেন? (তিতলী তুমি করেই বলতে লাগলো) তবে হ্যাঁ, মা বলেন পিছু ডাকতে নেই। আর ঐ যে বললে না ধবধবে গাড়ী, আমার আম্মুর সাদা রঙ খুব পছন্দের। ক'দিন পরে আম্মুকে, আর আপুকে দেখেছি, তাই আমি খুশিতে হারিয়ে গিয়েছি। কখনও আম্মুকে আর আপুকে ছেড়ে কোথাও যাইনি তো, তাই খুব মিস করতেছিলাম তাদেরকে। জাহিদ কবীর একটা ঘোরের মধ্যে নিজেকে গুলিয়ে ফেলছে, এয়ারপোর্টে যদিও পেছনে দেখেছে ঐ লম্বা ছিপছিপে গড়নের মহিলাটা, হুম মহিলাই তো, যথেষ্ট সুন্দরীই হবেন তাই হয়তো বয়সটা তরুণীর মতো লাগছে দূরে থেকে। এতটা আকর্ষণীয় লাগছিল মহিলাটাকে! গাড়ীর গ্লাস উঠানোর আগে যতটুকু খেয়াল করেছে জাহিদ, ঐ মহিলার থুতনীর বাম পাশে একটা কালো তিল ছিল, যা একদিন জাহিদ সাহেবের বুকে দুরু দুরু কম্পন সৃষ্টি করতো, দু'চোখের পাতা এক করতে দিতোনা, চুম্বকের মতো টেনে নিয়ে যেতো বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের মোড়টাতে, ফুলের দোকানগুলোতে। চোখে কালো চশমা তাই মুখটা পুরো দেখা হয়নি, তাছাড়া সবকিছু এত কম সময়ের মধ্যে ঘটে গেলো, ঠিক মেলাতে পারেনি সে। আসলে সে মহিলাকে পেছন থেকে এতটাই পরিচিত মনে হয়েছিলো জাহিদ পেছনে পেছনে হেঁটে গিয়েছিল বাহিরে পর্যন্ত।
বাবা ওয়াহিদুল আলম চৌধুরী ও মা রওশন আরা বেগম এর চার সন্তানের মধ্যে বড় তিনি। চট্টগ্রামস্থ ফটিকছড়ি উপজেলার হালদা পাড়ের পূর্ব ধলই গ্রামের সম্ভ্রান্ত আরবান আলী সওদাগর বাড়ির স্বনামধন্য আবদুল জলিল মিঞার নাতনী। স্নাতকে প্রথম শ্রেণি সহ উদ্ভিদ বিদ্যায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন চট্টগ্রাম কলেজ থেকে। বেশ কিছুদিন শিক্ষকতায় জড়িত ছিলেন। স্বামী আবদুল ওয়ারেছ নূরী বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসাবে নিয়োজিত আছেন মানিকছড়ি গিরি মৈত্রি সরকারি কলেজে। দীর্ঘদিন থেকেই লেখালেখির সাথে জড়িত হলেও 'রোদেলা আকাশে এক চিলতে ছায়ামেঘ তুমি' তাঁর প্রকাশিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ। তিনি বিভিন্ন অনলাইন পেইজে লিখছেন নিয়মিত।