কথিত আছে সুন্দরবন এবং সুন্দরবনে বিপদে পরা সকলকে রক্ষা করেন- বনের রক্ষাকারী দেবি বনবিবি। এটা কী সত্যি, নাকি নিছক গল্প? অবাক ব্যপার হলো, আমরা কেউ কেউ জেনে বিপদের মুখোমুখি হই, কেউ আবার না জেনে। যেভাবেই হোক বিপদ মোকাবেলা করতেই হয়। এর মধ্যেই জড়িয়ে থাকে রহস্য, রোমাঞ্চ আর অ্যাডভেঞ্চার। এর জন্য প্রয়োজন হয় সাহসের। তেমনি এক সাহসি মেয়ের গল্প এটা। অথবা একদল অভিযাত্রির গল্প। তারা ঘটনাচক্রে হারিয়ে যায় পৃথিবীর একমাত্র ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের গহিনে। যেখানে বাঘসহ নানারকম হিংস্র প্রাণি ছাড়াও বসবাস করে একদল জলদস্যু। যারা হিংস্র পশুর চেয়েও বেশি ভয়ংকর। কতটা ভয়ানক এই সুন্দরবন? জানতে হলে বনের গভীরে যেতে হবে। একবার বিপদের মুখেও পরা প্রয়োজন- এটা ভেবেই মেয়েটা তার পরিবার নিয়ে যায় সুন্দরবনে। তারপর কী হয়? আমরা নিষেধ করা কাজগুলোর মধ্যে কেন যেন অন্যরকম একটা আনন্দ অনুভব করি। রহস্য আর আডভেঞ্চারের মধ্যে প্রবল ঝুঁকি থাকে। থাকে বিপদের তুমুল সম্ভাবনা। তবু একদল মানুষ কোনো বিপদকে তোয়াক্কা না করেই আ্যডভেঞ্চারের সন্ধানে নেমে পরে। সাহস ও ভাগ্য কাউকে টিকিয়ে রাখে আর কাউকে নিয়ে যায় মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে। তেমনি সাহসিকতা, রহস্যময়তা ও ভাগ্যের সমন্বয়ে টিকে থাকার এক খণ্ড লড়াইয়ের গল্প এটা। শুধু ভ্রমণ নয়, সুন্দরবনের নানারকম অজানা রহস্য, ঐতিহ্য ও ইতিহাসের গল্প এটা।
নাম- আহমাদ স্বাধীন পিতা- মৃত মোঃ বাদশাহ মিয়া মাতা- হোসনেয়ারা বেগম জন্ম- ১লা জুলাই ১৯৮৪ পেশা- পোশাক ডিজাইনার বসবাস- সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ। এ পর্যন্ত প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ১১টি