শেকড় থেকে শিখরে পৌঁছবে না জানি আমার এই কবিতা, কারো অন্তরে রেখা কাটবে না এ বর্ণমালা নিঃশেষ হয়ে যাবে কালের চক্রে। নতুনের আগমনে অন্ধকারে ঢাকা পড়বে মনের অব্যক্ত কথামালা, স্মৃতির পরতে পরতে খুঁজে ফিরি সেই অলস দুপুরের কাব্যকথা। মনের গহীনে আঁকা কত প্রেমের পাণ্ডুলিপি, গুমরে গুমরে কেঁদে মরে প্রকাশের অপেক্ষায় বর্ণগুলো। কবিতা– সে তো শুধু এখন নামমাত্র তাকে অনুধাবন করতে পারি না, পারি না তাঁকে হৃদয়ের খাঁচায় বন্দি করতে, উড়ে বেড়ায় সে এক ডাল থেকে আরেক ডালে। কবিতা– সে তো অকবিতা-ই হয়ে পরে রয় পুরোনো ডায়েরির পাতায়, লিখতে পারি না, না, পারি না নতুন কোনো কাহিনী রচনা করতে, বোধ শূন্য হয়ে চক্ষু, নাসিকা, ওষ্ঠ, অধর, কর্ণ পরে রয় নিষ্পাপ চাহনিতে। কবি– সে তো বোবা হয়ে শুধু চেয়ে থাকে নাম না জানা কত প্রেম কাব্যের কাব্য রসে। পায় না খুঁজে কোনো শব্দের চরণ, অন্ত্যমিলও এলোমেলোভাবে এদিক সেদিক ঘোরাঘুরি করে, কবিতা– সে তো শেষ স্তবকে পৌঁছতেই পারে না মাঝপথে হারিয়ে যায় কথামালা, খুঁজে পায় না অকবি তাঁর অকবিতার পঙক্তিমালা। শেকড় থেকে শিখরে পৌঁছবে না তাঁর কাব্যকথা না, আর পৌঁছবে না। # আমি তোমাকে ভুলে যাব কতদিন আর এভাবে বুকের মাঝে আঁকড়ে ধরে রাখব! তোমার বলা শেষ শব্দটা শোনার পর, হতভম্ব এই আমি, সেদিন চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গেছি, মনে হচ্ছিল হৃদয় উতরে নেওয়া তান্ডবলীলায় তুমি মেতেছ! হৃদয়টা আহত! ক্ষত-বিক্ষত হয়ে জর্জরিত মৌনতার পাহাড়ে ঘেরা, খরা নদীর ধারে দাঁড়িয়ে আর কত খুঁজব তোমায়। তোমার জন্য - যতটা রাত কেঁদেছি আমি, ততটা কান্নায় সৃষ্টি হতো মেঘের পরে মেঘ বর্ষায় ভিজিয়ে দিতে পারতাম তৃষ্ণার্ত মরুভূমির রুক্ষ পাহাড়। আর কত কষ্ট সইতে হবে, তোমাকে পাবার অপেক্ষায়! দেখবে, একদিন ঠিকই হারিয়ে যাব এই ভুবন ছেড়ে নতুন বাসস্থানে,নতুন মহাকালের গহ্বরে। সমস্ত স্মৃতির বাঁধ ভেঙে তুমি আজ অনায়াসে বলে গেলে, ভুলে যাও প্রিয়া- ভুলে যাও ! জানলেও না, বুঝতেও চাইলে না, এই একটি শব্দে সেদিন আমার দমবন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সত্যিই আমি ভুলে যাব তোমায় কেউ জানবে না বঞ্চিতার অসুখ সে। # তুমি চলে গেলে নিরালায় নিভৃতেই- ভালো কখনোই বাসোনি আমায় যতটুকু বেসেছ সব ছিল লোক দেখানো। আমার কাছে লোক দেখানোর মতো ভালোবাসা ছিল না, ছিল বুক ভরা ভালোবাসা! যা দিয়ে তুমি সারাটি জীবন পার করে দিতে পারতে।