আদিমকাল থেকেই পৃথিবীর মানুষ অমরত্ব লাভের নেশায় মত্ত। কিন্তু রিমন ব্যতিক্রম, অমরত্বের প্রত্যাশা নেই তার। দেড় হাজার বছরের জীবনে অজস্র প্রিয় মানুষের মৃত্যু দেখেছে। কিন্তু সেই মৃত্যু তাকে কখনো স্পর্শ করতে পারেনি। বারবার আত্মহননের চেষ্টা করেও ব্যর্থ। এই অনন্ত জীবনের উদ্দেশ্য রিমনের জানা নেই। এদিকে জহির জানে তার জীবনের উদ্দেশ্য- একটা দিন বেশি বেঁচে থাকা। তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো থেকে ধনী ব্যক্তিরা তল্পিতল্পা গুটিয়ে উন্নত বিশ্বের বুকে পাড়ি জমাচ্ছে। গোটা পৃথিবী যেন দুইভাগে বিভক্ত। একদিকে আছে অনন্ত সুখ, আরেকদিকে দুর্ভোগের শেষ নেই। সেই দূর্ভোগের মাঝে থেকে সন্তানের মুখে অন্ন যোগাতে তাকে করতে হবে এক চরম আত্মত্যাগ! তবে জিমির জীবনটা সবদিক থেকে পরিপূর্ণ। একজন আদর্শ স্বামীর সব গুণাবলী আছে তার মাঝে। একটাই শুধু আক্ষেপ- স্ত্রী মারিয়ার ভালোবাসা পাওয়া হয়নি তার। মারিয়া জিমির জন্য সবকিছু করে, কিন্তু ভালোবাসে না! কেন বাসে না? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে, জিমিকে যেতে হবে যোজন যোজন দূরে। অন্যদিকে, সব ছেড়ে স্ত্রীকে নিয়ে দূরে পালিয়ে এসেছে আনিস। মেয়েটিকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে প্রতিমুহূর্তে পাশে থাকার। কিন্তু হুট করে যদি তার জীবনের অবসান হয়, প্রতিশ্রুতি তো অপূর্ণ থেকে যাবে! সেটা পূরণের জন্য সে কি দ্বিতীয় সুযোগ পেতে পারে? এসব কিছু নিয়ে মাথা ব্যথা নেই প্রফেসর ইউসুফের। তিনি শুধু কিছুদিন যাবত একটাই চিন্তায় মশগুল। মানুষের মাঝে জিনগতভাবে কিছু ক্ষমতা বিদ্যমান। তবে জন্মের পরই মানুষ সেই ক্ষমতা পেয়ে যায় না, অনুশীলনের মাধ্যমে অর্জন করতে হয়। যেমন: হাঁটা, সাঁতার কাটা, সাইকেল চালনা। এমন কি হতে পারে যে মানুষের আরো ক্ষমতা আছে, কিন্তু পর্যাপ্ত অনুশীলনের অভাবে রপ্ত করতে পারছে না?
Nazim Ud Daula-er জন্ম ১৯৯০ সালের ৪ নভেম্বর নানাবাড়ি কেরানীগঞ্জে। পৈত্রিক নিবাস যশোর জেলায় হলেও বেড়ে উঠেছেন ঢাকার আলো বাতাসের মাঝে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগ থেকে বিবিএ ও এমবিএ শেষ করে বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি “অ্যানালাইজেন”-এ কর্মরত আছেন। লেখালেখির চর্চা অনেক দিনের। দীর্ঘসময় ধরে লিখছেন ব্লগ, ফেসবুক সহ বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্মে। ২০১২ সালে প্রথম গল্প “কবি” প্রকাশিত হয় কালান্তর সাহিত্য সাময়িকীতে। অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৫-তে প্রকাশিত হয় তার প্রথম থ্রিলার উপন্যাস “ইনকারনেশন”। একই বছর আগস্টে প্রকাশিত হিস্টোরিক্যাল থ্রিলার “ব্লাডস্টোন” তাকে এনে দেয় বিপুল পাঠকপ্রিয়তা। এ পর্যন্ত ৬টি থ্রিলার উপন্যাস ও ১টি গল্পগ্রন্থ লিখেছেন তিনি। সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি চলচ্চিত্রের স্ক্রিপ্ট লেখায় মনোনিবেশ করেছেন। কাজী আনোয়ার হোসেনের কালজয়ী চরিত্র “মাসুদরানা” নিয়ে নির্মিতব্য চলচ্চিত্রের স্ক্রিপ্ট লিখেছেন তিনি। এছাড়াও “শান”, “অপারেশন সুন্দরবন” সহ বেশ কিছু বড় বাজেটের বাংলা চলচ্চিত্রের স্ক্রিপ্ট লিখেছেন। অবসর সময় কাটে বইপড়ে, মুভি দেখে আর বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে। সদালাপী, হাসি খুশি আর মিশুক স্বভাবের এই মানুষটি স্বপ্ন দেখেন একটি সুন্দর বাংলাদেশের, যেখানে প্রত্যেকটি এক হয়ে মানুষ দেশ গড়ার কাজে মন দেবে।