কালের কোনো সীমা-পরিসীমা থাকে না। জীবন ক্ষণস্থায়ী তবুও সেটা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে একটা অটুট বন্ধনে স্থানান্তর হয়ে থাকে। এই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সময়ের মাঝে ঘটনাবহুল জীবনের পরতে পরতে বাঁধা থাকে কাক্সিক্ষত ও অনাকাক্সিক্ষত ঘটনাবলি। ফিকে হয়ে আসা স্মৃতিগুলো একটা সময়ে বর্তমানের পর্দায় উদ্ভাসিত হয়। আনন্দ দেয়, যন্ত্রণা দেয়। তবুও ভুলা যায় না। মানুষ মরণশীল, অমরত্ব শব্দটা কোনো ক্ষেত্রেই যথার্থ নয়। তবু সৎকর্ম ব্যক্তি বিশেষকে অমরত্ব দান করে, মহাকালের হৃদয়ে বিশেষ মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত হন কেউ কেউ। চলমান পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যক্তি বিশেষেরই কমবেশি স্পর্শ থাকে, আমার ছোট্ট জীবনটাও এমনই নিত্যকর্মসমূহের আবর্তে ঘেরা। কী পেয়েছি হিসাব নেইনি, কী হারিয়েছি তারও হিসাব করিনি; কেননা বেলাশেষে সব কিছু ছেড়ে মহাকালের নিয়মের কাছে আত্মসমর্পণ করতে হবে। যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ ততক্ষণ প্রজন্মের কাছে নিজের শেষটুকু রেখে যেতে চাই। সহজ নয়, জটিল নয় আমি আমার মতো নিজেকে উপস্থাপন করে গেলাম। জানি, আমি থাকব না তবু যেখানেই থাকি নিজেকে ফিরে দেখতে ইচ্ছে করবে বারবার। ফিরে দেখা দুই ভুবনের মেলবন্ধন হয়ে থাকুক।