অনেক অনুষঙ্গ মিলে একটি কবিতা অবয়ব পেয়ে থাকে। প্রাচীনকাল থেকেই আলংকারিকরা কবিতার নানা বৈশিষ্ট্যের কথা বলছেন। সময়ের পরিবর্তনের সমান্তরালে কবিতার সংজ্ঞায়ও পরিবর্তন এসেছে। মৌলিক বৈশিষ্ট্য মান্য করে, কবিতাকে সময়ের সন্নিকটে রাখাটাই জরুরি। কবিতার ঘাড়ে নানা বিশেষণ চাপিয়ে এই ‘শিল্পের শিল্প’টিকে জটিল, দুর্বোধ্য, খাপছাড়া করে তোলা কোনো কাজের কাজ নয়। সময়ের সমান্তরালে হেঁটেও ফারুক মাহমুদের কবিতা অযৌক্তিক বন্ধুরতা, অন্ধকারের হাঁসফাঁস থেকে মুক্ত। অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো কাব্যে কবির অর্জিত নিজস্ব কাব্য- বৈশিষ্ট্যগুলো বিদ্যমান। অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো কাব্যে রয়েছে বিচিত্র স্বর ও সুরের কবিতা। তারপরও কবিতাগুলোর মধ্যে একটি অভিন্ন অন্তর্ভুক্তি খেয়াল করা যাবে। বরাবরের মতো এই কাব্যেও রীতিঋদ্ধতার বিষয়টি রক্ষিত হয়েছে। তবে পর্ব বিন্যাসে নতুনত্ব আছে, আছে বাংলা কবিতার ঐতিহ্যের অনুষঙ্গও। ‘কোভিড’ মহামারির সময়ে লেখা কয়েকটি কবিতা এই কাব্যে স্থান পেয়েছে। সময়ের সাক্ষী হিসেবে কবিতাগুলো ভিন্ন বিবেচনা পাবে। বর্তমান গ্রন্থে পাঠকের অভিজ্ঞতায় যুক্ত হবে পুরোনো প্রখরতার সঙ্গে নতুন কাব্যপরমার্থ।
Farook Mahmud- কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরবে ১৯৫২ সালের ১৭ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর। বিচিত্র পেশায় জড়িত থাকলেও এখন সাংবাদিকতা করছেন। দৈনিক আমার দেশ-এর সহকারী ও সাহিত্য সম্পাদক। মূলত কবিতা লেখেন। তার প্রকাশিত কাব্যÑপাথরের ফুল, অপূর্ণ তুমি আনন্দ বিষাদে, অনন্ত বেলা থেকে আছি, এত কাছে এত দূরে, সৌন্দর্য হে ভয়ানক, বাঘের বিষন্ন দিন, অন্ধকারে মুগ্ধ। ২০০৯ সালে সুকুমার রায় সাহিত্য পদকে ভূষিত হয়েছেন।