ফারহানা ফ্লোরার চতুর্থ কাব্য ‘ কাঞ্চনজঙ্ঘার দুঃখ রাখার বাক্স’, এ কাব্যের নামকরণেই রয়েছে কাব্যসুধার নিহিতার্থ। উত্তরের জনজীবনসংলগ্ন ব্যক্তিক অভিক্ষেপের একটি দারুণ কারুকাজ এ কাব্য। বিশেষত ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদে উজ্জীবিত একজন নারীর অবচেতনে উদ্বেলিত বিষয়ের একটি শৈল্পিক রূপকল্প যেন এ কাব্য ব্যক্তিগত নস্টালজিয়া ও অভিজ্ঞতা প্রসূত বিষয়ের অনুলিপি ও অনুচ্চ উচ্চারণ যেন বিষয়ের সামঞ্জস্যে ঋদ্ধ হয়ে উঠেছে নিরন্তর। কাঞ্চনজঙ্ঘা শব্দটির ভেতরে যে আবেগ নিঃসৃত অনুভূতি সক্রিয় থাকে বাঙালি জনজীবনে তারই একটি প্রতিরূপায়ণ যেন ‘কাঞ্চনজঙ্ঘার দুঃখ রাখার বাক্স’। ‘একাদশীর চাঁদ’ থেকে ‘কাঞ্চনজঙ্ঘার দুঃখ রাখার বাক্স’ অব্দি যে সুদীর্ঘ জার্নি কবি করে চলেছেন সেটার একটি অবয়ব পাঠক আবিষ্কার করতে পারে এ কাব্যে। সুললিত পাঠমধুর ও শ্রুতিমাধুর্যে সমৃদ্ধ ‘কাঞ্চনজঙ্ঘার দুঃখ রাখার বাক্স’ এ দাবি দীক্ষিত পাঠকমাত্রই করতেই পারবেন পাঠশেষে.... ফারহানা ফ্লোরা জন্ম ৭ সেপ্টেম্বর দিনাজপুর। মো. ফশিউর রহমান ও আনোয়ারা খাতুনের তৃতীয় সন্তান। শিক্ষকতা পেশার সাথে জড়িত আছেন দীর্ঘ বিশ বছর। বাবা-মা উভয়েই শিক্ষকতা পেশায় ছিলেন বলেই হয়তো শিক্ষকতাকে বেছে নেওয়া। উপজেলা পর্যায়ে তিনবার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন। বিদ্যানুরাগী পরিবারে বেড়ে ওঠা ফারহানা ফ্লোরার। বাবা-মায়ের গড়ে তোলা সুবিশাল পাঠাগারে বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার করতে গিয়েই আপন মনে লেখালেখি শুরু। ছোটবেলা থেকেই লেখালেখির সাথে জড়িত তিনি। বিভিন্ন প্রত্র-পত্রিকায়, স্বারকগ্রন্থে লেখা প্রকাশিত হতে থাকে। রংপুর বিভাগীয় কবি পরিষদের একজন সম্মানিত সদস্য হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। দিনাজপুর ‘পাতা সাহিত্য পরিবার’ ও রংপুর বিভাগীয় লেখক পরিবারের সদস্য।