অনুসন্ধিৎসা মানুষের শাশ্বত তৃষ্ণা। অজানাকে জানা, অচেনাকে চেনা, অজেয়কে জয়ের অনন্ত তৃষ্ণায় মানুষ নিবেদিত হয়েছে সভ্যতার সূচনা থেকে। পর্যবেক্ষণ, নিরীক্ষণ, পরীক্ষণের মাধ্যমে অগ্রসর হচ্ছে ক্রমাগত। এই অগ্রগমনের মধ্যে অবশম্ভাবী বিষয় মানুষের মেধা, শ্রম আর একাগ্রতা। এর মাধ্যমেই যে জ্ঞানের সাধনা তাই বিজ্ঞান। সভ্যতার শুরু থেকেই মানুষ অগ্রসর হয়েছে বিজ্ঞানের পথেই। বিজ্ঞানের কল্যাণেই আজ গুহামানব উপনীত হয়েছে আকাশ সংস্কৃতিতে। পৃথিবী আজ মানুষের হাতের মুঠোয়। সময় আর দূরত্ব অতিক্রম করেছে মানুষ। সভ্যতার প্রারম্ভে আমাদের ভারতবর্ষে বিজ্ঞানের অনেক অগ্রগতি হয়েছিল। এ ভারতীয়রাই আবিষ্কার করেছিল আধুনিক কৃষি, মৃৎশিল্প, ধাতব হাতিয়ার। তারাই আবিষ্কার করেছিল শূন্য, পাটি গণিত, অ্যালজেবরা। কিন্তু তা হলেও এক সময় তাতে ভাটা পড়ে। আধুনিককালে ইউরোপ, আমেরিকাসহ পশ্চিম দুনিয়া ভারতীয় উপমহাদেশকে অতিক্রম করে বিজ্ঞানে অনেক দূর এগিয়ে যায়। এখন ভারতীয় উপমহাদেশ বিজ্ঞান সাধনায় পাশ্চাত্য দেশগুলোর তুলনায় অনেক পিছিয়ে রয়েছে। তবে তা স্থবির নয় কোনোভাবেই। এদেশেও বিজ্ঞান সাধনায় অনেক বিজ্ঞানী বিপুল অবদান রেখেছেন। এ ভূমিতেও জন্মেছেন অনেক বিশ^খ্যাত বিজ্ঞানী। এরকম চারজন বিজ্ঞানীকে নিয়ে এ সংকলনগ্রন্থে আলোচনা করা হয়েছে। চার বাঙালি বিজ্ঞানী- আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু, সত্যেন বোস, ড. কুদরাত-এ-খুদা ও কাজী মোতাহার হোসেন। তাঁরা স্ব-স্ব ক্ষেত্রে খ্যাতিমান ও স্বাক্ষর রেখেছেন মনীষার।