প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা মনুষ্য জীবনের ভিত রচনা করে। আর পরিস্থিতির শিক্ষা, জীবন পথের শিক্ষা, ঘটনার পিঠে ঘটনার শিক্ষা, প্রতিকূল পরিবেশ-পরিস্থিতি থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা, ঠকে যাওয়ার ঘটনা থেকে প্রান্ত শিক্ষা মানুষকে প্রকৃত আর সফল মানুষ হওয়ার পথ দেখায়। তাই জীবন থেকে নেয়া শিক্ষার চেয়ে ভালো শিক্ষা আর কী হতে পারে? মানুষের জীবন অনেক সুন্দর! আল্লাহ মহামহিম যেমন সুন্দর করে সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে মানুষকে সৃষ্টি করেছেন, তেমনি তাঁকে দিয়েছেন সেরা বিবেক ও শ্রেষ্ঠ জীবনের সুন্দর ও অনাবিল পথ নির্দেশনা আর শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদা। পরিস্থিতির জ্ঞান আর ঘটনার অভিজ্ঞতা এই শ্রেষ্ঠ মানুষকে পরিস্থিতি মোকাবেলা করা ও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে, কর্মে সফল হতে উদ্যমী করে, প্রতিকূল পরিবেশ-পরিস্থিতিতে ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে নিতে বা পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। জীবনে সফল হওয়ার জন্য সব ক্ষেত্রে ভুল না হওয়া বা ভুলের পরিমাণ কম হওয়া জরুরী। বোধ-বুদ্ধি, শিক্ষা-দীক্ষা, আচার-আচরণ, আশা-আকাঙ্ক্ষা, কাজ-কর্ম, নীতি-আদর্শ, লেন-দেন, ধর্ম বিশ্বাস ইত্যাদি'র সঠিক জ্ঞান ব্যক্তির সফল হওয়ার সম্ভাবনাকে বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়। ফলে তিনি সফল হন আর সুখী জীবন যাপনের সুযোগ পান। মানুষ মহামহিম আল্লাহর দেয়া বিবেক ব্যবহার করে ও পথ নির্দেশনা মেনে; নবী করীম (সাঃ) এর দেখানো পথে হেঁটে, তাঁর নীতি ও আদর্শ মেনেই গড়তে পারে সুখী, সুন্দর ও সমৃদ্ধ জীবন; আলোকিত করতে পারে পরিবার, সমাজ আর রাষ্ট্রকে। আসুন আমরা বিবেক খাটিয়ে অভিজ্ঞতা দিয়ে সমৃদ্ধ, সফল ও আলোকিত জীবন গড়ি; মায়া ছড়াই প্রতিটি প্রাণে।
মোঃ আতাউর রহমান ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দের ১০ নভেম্বর নোয়াখালী জেলার অন্তর্গত হাতিয়া উপজেলার গুল্যাখালী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মোঃ জামাল উদ্দিন অবসরপ্রাপ্ত মাদ্রাসা শিক্ষক আর মা মরহুমা সুফিয়া বেগম গৃহিনী ছিলেন। ছয় ভাই—বোন এর মধ্যে তিনি তৃতীয়। স্কুল জীবন থেকে তার লেখালেখির হাতেখড়ি। ইতিপূর্বে “অষ্টাদশীর বিয়ে” নামে তার একটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়। তার কবিতার মধ্যে যৌতুক, ভেজাল, উত্তরপুরুষ, কষ্টের ফেরিওয়ালা ইত্যাদি অন্যতম, অনবদ্য ও সমাদৃত। তাছাড়া ”100 Features of a Great Company” নামে তার আরো একটি বই প্রকাশিতব্য। মোঃ আতাউর রহমান ব্যবস্থাপনা বিষয়ে স্নাতকোত্তর ও পিজিডি করেন। তিনি পেশাগত বিভিন্ন বিষয়— মানবসম্পদ, প্রশাসন ও কমপ্লায়েন্স এ অসংখ্য প্রশিক্ষণ গ্রহণ ও প্রদান করেন। তিনি ১৯৯৮ সালে স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান আজিম গ্রুপের হেড অফিসে চাকুরিতে যোগদান করে আট বছর চাকুরি করেন। অতপর তিনি ক্লিফটন গ্রুপের হেড অফিস এবং এলিট গ্রুপ, ঢাকায় ব্যবস্থাপক— মানবসম্পদ, প্রশাসন ও কমপ্লায়েন্স হিসেবে কাজ করেন। তিনি ২০১০ সালে স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান টি,কে গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ম্যাফ সুজ লিঃ এ ব্যবস্থাপক— মানবসম্পদ, প্রশাসন ও কমপ্লায়েন্স হিসেবে যোগদান করে বর্তমানে উপ—মহাব্যবস্থাপক— মানবসম্পদ, প্রশাসন ও কমপ্লায়েন্স হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি বাংলাদেশ সোসাইটি ফর হিউম্যান রিসোর্সেস ম্যানেজমেন্ট (BSHRM), চট্টগ্রাম চ্যাপ্টার এর প্রতিষ্ঠাকালীন ভাইস চেয়ারম্যান ও হাতিয়া জনকল্যান সমিতি, চট্টগ্রাম এর কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট এলামনাই সোসাইটি, চট্টগ্রাম (BIMASC) এর সাধারণ সম্পাদক ও BSHRM, চট্টগ্রাম চ্যাপ্টার এর কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য। তিনি BSHRM এর ফেলো সদস্য ও BIMASC এর আজীবন সদস্য। এছাড়াও তিনি UCEP কালুরঘাট অঞ্চলের নিয়োগকর্তা কমিটি, বিকেটিটিসি’র নিয়োগকর্তা কমিটি ও চট্টগ্রাম মহিলা পলিটেকনিক এর নিয়োগকর্তা কমিটির অন্যতম সদস্য।