কবিতা তার আপন নদী ঘর, কবিতা তার একান্ত পৃথিবী আপন। যদিও তিনি ভ্রমণ বিষয়ক লেখালেখি বেশি করেন। তাই বলে ভ্রমণ বিষয়ক লেখা লিখতে লিখতেই কবিতার জগতে প্রবেশ করেছেন এটা বলা যাবে না। কবিতা তার হৃদয়স্ফুটে অন্তরমূলে জমানো ছিল। এবার সেই সব কবিতাকে সকলের জন্য উম্মুক্ত করে দিয়েছেন। কবিতার মাঝে সৃষ্টির রহস্য থাকে। মাহমুদা রহমানের কবিতায় রয়েছে ফুলের রহস্য। প্রতিটি কবিতাই এক একটি ফুলের অনবদ্য সৃষ্টির ইতিহাস। কবিতাগুলো না পড়লে জানা হবে না, ফুলের জন্ম জন্মাতরের ইতিহাস আছে। ইতিহাস আছে ভালোবাসার, ইতিহাস আছে ঘর সংসারের। ফুলও কষ্টকান্নায় নিভৃতে কাঁদে। ফুল, পাখি, নদী সভত্যার কথা বলে মাহমুদা রহমানের কবিতা। তিনি প্রকৃতির নির্যাসে বিমূঢ়- ধূসর কাকতাড়–য়ার সোনালি স্বপ্ন ছড়ানো সন্ধ্যায় মালতি লতা সুবাস পান, পথের ধারের ভাঁটফুলে ডাহুকের ক্রন্দন শোনেন, সমুদ্রের ঘ্রাণ তাঁকে আচ্ছন্ন করে। তিনি শব্দপ্রয়োগে অনবদ্য, উচ্চারণে অভিনব, বোধের বিন্যাসে নিপুণ, চিত্রায়ণে অনন্য। তাঁর কাব্যপাঠ মানুষকে আচ্ছন্ন করবে অচেনার মোহময় আনন্দলোকে, ব্যথার নিবিড় আহŸানে, রূপকথার গহীন আবর্তে, প্রকৃতির শ্যামলিমায়, প্রেমের অদম্য অভিলাষে, হু-হু কান্নার অতলান্তে, হঠাৎ রোদের উজ্জ্বলতা মহিমুদা রহমানের কবিতা। আমার বিশ্বাস এই কবিতাগুলো অসাধরন পাঠক প্রিয়তা পাবে। লেখকের জন্য রয়েছে অনেক অনেক ভালোবাসা ও শুভকামনা।