শিউলী খন্দকার সৃজনশীল মৌলিক লেখক। তিনি শুধু বড়দের জন্যই লেখেন না, ছোটদের জন্যও লিখে চলেছেন অবিরাম। বাস্তবজীবনে ঘটে যাওয়া শিশু কিশোরদের হাসি, কান্না, রাগ, অভিমান ও আনন্দের কথাগুলো তিনি অত্যন্ত সহজ ও সাবলীল ভাষায় তুলে ধরেন। যে কারণে শিশুরা তার লেখায় খুব সহজেই খুঁজে পায় ভাবনার খোরাক। 'ছোটদের মজার গল্প’ গ্রন্থটিতে মোট পাঁচটি গল্প রয়েছে। প্রতিটি গল্পের বিষয়বস্তু অনন্য ও মৌলিক। প্রতিটি গল্পের শেষে রয়েছে নীতিকথা। যা থেকে শিশুরা নৈতিক শিক্ষা আহরণ করতে পারবে। শিশু-কিশোরদের কথা চিন্তা করেই লেখক অত্যন্ত প্রাঞ্জল ভাষায় গল্পগুলো লিখেছেন । প্রতিটি শিশুরই কল্পনার একটি জগৎ থাকে। বই পাঠে শিশুরা আরো বেশি কল্পনাপ্রবণ হয়ে ওঠে। শিশুরা কল্পনাপ্রবণ হলে তাদের জানার আগ্রহ বেড়ে যায়। এতে শিশুর মানসিক বিকাশ সুষ্ঠুভাবে হয়। একটি ভালো বই হতে পারে একটি শিশুর একান্ত বন্ধু । তাই শিশুদের হাতে ভালো বই তুলে দিতে হবে। বই শুধু জগৎ ও জীবন সম্পর্কে জ্ঞান বাড়ায় না, বই মানুষের মানবিক উন্নয়ন সাধন করে। বই মানুষের আচরণে ইতিবাচক পরিবর্তন আনে। 'ছোটদের মজার গল্প" গ্রন্থটি নিঃসন্দেহে একটি ভালো বই এতে কোনো সন্দেহ নেই। বইটি শিশু-কিশোরদের উপভোগ্য হবে আশা করি
শিউলী খন্দকার আসল নাম : শিউলী হােসেন। জন্ম: ১৮ এপ্রিল, ঢাকায় এক সম্ভান্ত মুসলিম পরিবারে। পৈতৃক নিবাস: আজিমপুর, ঢাকা। গ্রামের বাড়ি: মতলব, চাঁদপুর। মাতা: জরিনা বেগম। পিতা: মােঃ তােফাজ্জল হােসেন। বাল্যকাল: পিতার চাকরি সূত্রে শৈশব ও কৈশাের কেটেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও আজিমপুরে। শিক্ষা: বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। লেখালেখি: স্কুলজীবনে কবিতা রচনার মধ্য দিয়ে তার সাহিত্য রচনা শুরু। তখন থেকেই প্রথম শ্রেণির জাতীয় দৈনিক, সাপ্তাহিক ও পাক্ষিক পত্রিকায় লেখালেখি করে আসছেন। প্রথম বই প্রকাশিত হয় ২০০৫ সালে একুশে গ্রন্থমেলায়। গল্প, কবিতা, উপন্যাস, প্রবন্ধ, ভ্রমণকাহিনী, শিশুসাহিত্য ও গানসহ সাহিত্যের প্রায় সব শাখাতেই তার স্বাচ্ছন্দ্য বিচরণ।। তিনি বাংলাদেশ লেখিকা সংঘের সহ-কোষাধ্যক্ষ । শখ: বই পড়া, গানশােনা ও ভ্রমণ। প্রকাশিত গ্রন্থ সংখ্যা : দশটি। ব্যক্তিগত জীবন : স্বামী ব্যবসায়ী খন্দকার আবদুল জলিল। দুই পুত্র : খন্দকার আবদুল মুন্তাকিম (উপল) ও খন্দকার আবদুল মুন্তাসির (উল্লাস)।