মানুষ বর্তমানে তার প্রজাতির সবচেয়ে উন্নত স্তরে আছে। মানুষের বুদ্ধিমত্তার উন্নতির সাথে সাথে তার জীবনধারাও পালটে গেছে অনেক। সেই আদিম সমাজের প্রকৃতিতে টিকে থাকার লড়াইকে পেছনে ফেলে আমরা এগিয়ে গেছি অনেকদূর। কিন্তু কালের বিবর্তনে সেই আদিম অনুভূতি গুলো কি হারিয়ে গেছে? মনের কোনো এক গভীর কোনে এখনো কি লুকিয়ে নেই সেই আদিম অকৃত্রিম ভয়, জড়তা, বিষণ্ণতা, অদম্য অন্ধকারে রহস্য উন্মোচনের কৌতূহল? ষড়রিপুর তাড়নাকেও কি আমরা ফাঁকি দিতে পেরেছি? তৌশিক খান তন্ময়ের লেখা “জিভে রাখা সায়ানাইড” বইটির প্রতিটি গল্পই যেন এই প্রশ্নগুলোই বারবার মনে করিয়ে দেয়। বইটির নয়টি গল্পের প্রতিটিতেই পাওয়া যাবে লোভ, হিংসা, কাম, ক্রোধ, মোহের আদিম কালের সেই অকৃত্রিম অনুভূতিগুলো। যে অনুভূতিগুলো হয়তো কালের পরিক্রমায় আরো গাঢ় হয়ে বসে আছে আমাদের ভেতরে। সায়ানাইড এর মতোই বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত করছে আমাদের জীবনকে। জিভে রাখা সায়ানাইড গতানুগতিক ধারার বাইরে সম্পূর্ণ ভিন্ন ধারার নয়টি গল্পের সংকলন। প্রতিটি গল্পেই পাওয়া যাবে আমাদের চেনা পরিচিত অনুভূতি গুলোরই তীব্রতম স্বাদ। সেই স্বাদ গুলো কেমন, কতটুকু তার তীব্রতা জানতে হলে পড়তে হবে তৌশিক খান তন্ময়ের লেখা জিভে রাখা সায়ানাইড বইটি।