ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে দেখতে হয় জগৎকে। একেক জনের দেখার চোখ একেক রকম। ‘দিল্লি বহুদূরে নয়’ এ রকম একটি ভ্রমণ বিষয়ক গ্রন্থ। যেখানে লেখক তার দূরবীনবিহীন খোলামেলা নিজস্ব চোখ দিয়ে দেখেছেন দিল্লিকে। আর বয়ান করেছেন সে সব দৃশ্য। অবশ্য বর্ণনায় তিনি চলে গেছেন বর্তমান থেকে কখনো অতীতে। ইতিহাসের মনি-মানিক ছড়িয়েছেন তার বর্ণনায়। মূলত দিল্লির যেখানে পা ফেলবেন সেখানেই ইতিহাস এসে আপনার পদচুম্বন করবে। বিশাল বপুর মেগা শহরজুড়ে হরেক মানুষের বৈচিত্রময় আনাগোনা। নগরজুড়ে সবুজ বৃক্ষের সোহাগী ছায়া অথচ নিঃশ্বাসের বাতাসে দূষণের বিষ। দিল্লিতে ৬ মাস অবস্থানকালীন একজন পরিব্রাজকের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে লেখক ঘুরে বেড়িয়েছেন শহরময়। এসব বর্ণনায় উঠে এসেছে দিল্লিতে যাপিত জীবন এবং এর পারিপার্শ্বিকতা। দিল্লির অনেকগুলো ঐতিহাসিক স্থান যেমন ফিরোজ শাহ কোটলা, কুতুব মিনার, সম্রাট হুমায়ুনের সমাধিক্ষেত্র, মির্জা গালিবের কবর, সফদার জং হাসপাতাল, All India institute of medical sciences, লোদি গার্ডেন ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দিল্লি থেকে কখনো আগ্রা, আজমির, জয়পুর, কোচিন, সিমলা, মানালি, চন্ডিগড় ঘুরে বেড়িয়েছেন। চলে গেছেন আরব সাগরের সৈকতে, চলে গেছেন কলকাতায়। বর্ণনায় ঠাঁই পেয়েছে দৃশ্যের বর্ণনা এবং না দেখার আক্ষেপ। বর্ণনার মাঝে কখনো আপনা আপনি চলে এসেছে কবিতার পংক্তিমালা। ভ্রমণ পিয়াসী সাধারণ পাঠক এবং ইতিহাস ঐতিহ্যের অনুসন্ধানী মানুষের জন্য বইটি সুখপাঠ্য বলে বিবেচিত হবে।