ন্যাটো একটি সামরিক জোট। এর নাম North Atlantic Treaty Organisation (NATO)। ন্যাটো এখন আর উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। এর সীমানা কৃষ্ণসাগরের পাড় পর্যন্ত চলে এসেছে। ১৯৪৮ সালের ৪ টা এপ্রিল সোভিয়েত ইউনিয়নের সম্প্রসারণ ও এর সম্ভাব্য হুমকি মোকাবেলায় ন্যাটো প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু সেই সোভিয়েত ইউনিয়ন ১৯৯১ সালে ভেঙে যায়। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে ১৫টি রাষ্ট্রের উদ্ভব ঘটে। সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত যে সমস্ত রাষ্ট্র ছিল তার অধিকাংশই বর্তমানে ন্যাটোর সদস্য। ন্যাটোর জন্য কোন হুমকি না থাকলেও আমেরকা কৃত্রিম হুমকি বানিয়ে নিয়ে ন্যাটোকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করে। ন্যাটো হচ্ছে বিশ্ব রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করার আমেরিকার মাধ্যম। জর্জ ডব্লিউ বুশ ২০০৮ সালে বলেেিছল ইউক্রেন ও জর্জিয়া ন্যাটোর সদস্য হওয়ার উপযুক্ত হয়ে উঠছে। এর পরই রাশিয়া জর্জিয়া আক্রমণ করে ওসেটিয়া ও আবখাজিয়া দখল করে নেয়। বিশ্বের অন্যতম পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র রাশিয়া। তার সীমান্তের লাটভিয়া, এন্তোনিয়া ও নরওয়ে ন্যাটোর সদস্য দেশ। আমেরিকার প্রচ্ছন্ন মদদে ইউক্রেনও ন্যাটোর সদস্য হতে চায়। অথচ ইউক্রেনের সাথে রাশিয়ার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। ফিনল্যান্ডের সাথে রাশিয়ার দীর্ঘ সীমান্ত। সেই ফিনল্যান্ড রাশিয়া ইউক্রেন হামলা করার পর ন্যয়োটোর সদস্য হওয়ার জন্য
ই-বুক আকারে প্রকাশিত "সচেতনতা অধ্যয়ন" সিরিজের লেখক মেহেদী হাসান দেশের অনেকের কাছেই একটি সুপরিচিত নাম। তিনি মূলত একজন গবেষক ও পরামর্শদাতা। তিনি তার জীবনে বিচিত্র অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন এবং সেসব নিয়ে তৈরি করেছেন তার গবেষণার জগৎ। তিনি কনসালটেন্সি তথা পরামর্শ বিষয়টাকে খুব উপভোগ করেন, কারণ এর জন্য তাকে অনেক কেস স্টাডি ও বাস্তব জ্ঞানার্জন করতে হয়; আর নতুন জ্ঞানার্জন তার প্যাশন। আর সেই প্যাশনকেই তিনি প্রফেশনে রূপান্তর করতে গড়ে তুলেছেন তার অনলাইনভিত্তিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান Advisers' Link। ইতোপূর্বে তিনি পরামর্শমূলক বই হিসেবে "সচেতনতা অধ্যয়ন" সিরিজ লিখেছেন এবং এখন ক্যারিয়ার বিষয়ে লিখছেন।