কোনো এক মধ্যরাতে, শীতার্ত স্টকহোমের রাস্তায় দেখা যায় মিকেল কোহলার-ফ্রস্ট নামের এক যুবক ছন্নছাড়া হয়ে ঘুরছে। মিকেল এবং তার ছোট বোন ফেলিসিয়া, তেরো বছর আগে যাদের নিখোঁজ সংবাদে মুখোরিত হয়েছিল পত্রিকার শিরোনাম। ধারণা করা হয় যে তারা দুই ভাইবোন শিকার হয়েছিল সুইডেনের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ংকর সিরিয়াল কিলার জুরেক ওয়াল্টারের, যার বর্তমান আবাসস্থল সিকিউর সাইকিয়াট্রিক ইউনিট। এক যুগেরও অধিক সময় পর বন্দী জীবন থেকে ফিরে আসা মিকেল পুলিশকে জানায় তার ছোট বোন এখনো জীবিত, আর আটকে আছে স্যান্ডম্যান নামক এক পরিচয়হীন ব্যক্তির বন্দীশালায়। বহু বছর আগে, ডিটেক্টিভ ইন্সপেক্টর জুনা লিনার এক মর্মান্তিক ব্যক্তিগত বিসর্জনের কারণে আটক করা গিয়েছিল জুরেক ওয়াল্টারকে। সে ভালো করেই জানে কতটা হিংস্র এই খুনি। তাই এখন মিকেলের ফিরে আসার পর সে ভালো করেই বুঝতে পেরেছে তার তত্ত্বে কোনো ভুল ছিল না। সে জানে যে মিকেলের বোনকে উদ্ধার করার একমাত্র পথ হলো জুরেকের মুখ থেকে তথ্য বের করা, আর এই কাজটা করতে একমাত্র যোগ্য লোক হলো ইন্সপেক্টর সাগা বাউয়ার- সাতাশ বছর বয়সী ধূর্ত অফিসার। তাকে মূলত সাইকিয়াট্রিক ইউনিটে গোপনে অনুপ্রবেশ করতে হবে যেখানে জুরেক ওয়াল্টারের বসবাস, এবং খুব বেশি দেরি হয়ে যাওয়ার আগেই সাইকোপ্যাথ খুনিটার মুখ থেকে বের করে আনতে হবে প্রয়োজনীয় তথ্য, সাথে খেয়াল রাখতে হবে কোনোভাবেই যেন সে মস্তিষ্কের গভীরে ঢুকতে না পারে।