মানুষ ও পশুর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের পার্থক্য বিদ্যমান। এই পার্থক্যগুলোর কিছুটা বুদ্ধিবৃত্তিক ও কিছু আবেগপ্রসূত। আবেগপ্রসূত একটি প্রধান পার্থক্য অনুযায়ী দেখা যায় যে, মানবীয় আকাঙ্ক্ষা পশুর আকাঙ্ক্ষার অনুরূপ নয়। প্রধানত এই আকাঙ্ক্ষাগুলো সীমাহীন এবং পূর্ণ তৃপ্তিলাভে ব্যর্থ। অজগর খাদ্য গ্রহণ করে পুনরায় ক্ষুধা না লাগা পর্যন্ত সুখে নিদ্রা যায়। অন্যান্য পশুর মধ্যে এর ব্যতিক্রম হলে বুঝতে হবে যে তাদের খাদ্য প্রাপ্তি প্রয়োজনের তুলনায় কম অথবা এগুলো শত্রুর ভয়ে ভীত। কিছু ব্যতিক্রম থাকা সত্ত্বেও পশু-পাখির সার্বিক কার্যকলাপ বংশবৃদ্ধি ও বেঁচে থাকার মৌলিক প্রয়োজনের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয় এবং এগুলোর কার্যকলাপ ঐসব মৌলিক প্রয়োজনের দ্বারা চিহ্নিত সীমা অতিক্রম করে না। মানুষের বেলায় এ ব্যাপারটি ভিন্নধর্মী। এটা সত্য যে, মানব জাতির এক বৃহৎ অংশ জীবন ধারণের জন্য অপরিহার্য বস্তুর অর্জনের লক্ষে এত কঠোর পরিশ্রম করতে বাধ্য হয় যে অন্যান্য উদ্দেশ্যে ব্যয় করার মতো খুব কম কর্মশক্তিই তাদের অবশিষ্ট থাকে। কিন্তু যাদের জীবন ধারণের জন্য প্রয়োজনীয় বস্তুর প্রাপ্তি সুনিশ্চিত, তারা ঐ অর্থে কর্ম তৎপরতা বন্ধ করে দেয় না। Xerxes যখন এথেন্স অভিযানে অবতীর্ণ হন তখন তার খাদ্য পোশাক ও স্ত্রীগণের অভাব ছিল না। ট্রিনিটিতে ফেলোশিপ লাভ করার পর নিউটন ব্যক্তিগত আরাম আয়েশের নিশ্চয়তা পেয়েছিলেন। কিন্তু এর পরেও তিনি প্রিন্সিপিয়া লিখেছিলেন।