সমস্ত প্রশংসা জ্ঞাপন করছি মহান করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহ তাআলার জন্য যিনি কুরআন ও হাদীসের আলোকে আমার মুনাজাত নামক গ্রন্থটি সংকলন, সম্পাদনা ও প্রকাশ করার তাওফিক দান করেছেন। সালাত ও সালাম নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রতি। দু‘আ হলো মুমিনের অস্ত্র। অন্য হাদীসে বলা হয়েছে, দু‘আ ইবাদত বা ইবাদতের মগজ। তাই দু‘আ করতে জানা, দু‘আর গুরুত্বপূর্ণ সময় ও স্থান এবং কুরআন ও হাদীসের দু‘আগুলো জেনে দু‘আ করা প্রত্যেক মুমিনের কর্তব্য। দু‘আ নিজের ভাষায় করা যায়। তবে অর্থ বুঝে কুরআন ও হাদীসের দু‘আগুলো আমলী জিন্দেগীতে নিয়ে আসতে পারলে এটাই হবে মুমিন জীবনের স্বার্থকতা। একজন মুসলিম জন্মগ্রহণ করার পর থেকে মৃত্যুবরণ করার পূর্ব পর্যন্ত এ দীর্ঘ জীবনে নানা অবস্থায় দু‘আর মুখাপেক্ষী হতে হয়। তাই দু‘আ সম্পর্কিত যে কোন গ্রন্থই জান্নাতকামী প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য খুবই গুরুত্বের দাবি রাখে। কুরআনে বিভিন্নভাবে অনেক দু‘আ বর্ণিত আছে। বিভিন্ন প্রেক্ষপটে নবী-রাসূল আলাইহিমুস সালাম তারা তাদের প্রয়োজনে, ইসলাম প্রচারে বাধা দূরীকরণে, মুযিজা প্রকাশার্থে এবং সর্বোপরী নিজ জাতির হিদায়াতের জন্য রাব্বুল আলামীনের নিকট দু‘আ করেছেন। সে সকল বর্ণিত দু‘আগুলোই মূলত আমাদের জীবনে অমূল্য সম্পদ হিসেবে পরিগণিত। অন্যদিকে নবী (সা.) এর পবিত্র মুখনিসৃত অর্থবহ দু‘আ এবং তাঁর প্রিয় সাহাবীদের পবিত্র জীবনের অগণিত দু‘আমূলক বাক্যও আমাদের জন্য মাসনুন দু‘আ হিসেবে গণ্য। আমাদের পাঠকদের জন্য আমরা বইটিকে ৪টি ভাগে ভাগ করেছি। যেমনÑ ১. আল কুরআনের দু‘আ ২. আল হাদীসের দু‘আ ৩. দুরূদ শরীফ পরিচয় ও মাসনুন দুরূদ ৪. আল্লাহর ৯৯টি সিফাতি নাম অবশ্য শুরুতে দু‘আর পরিচয়, দু‘আ করার ক্ষেত্র সময় ও দু‘আর আবদসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। যা সবার জন্য খুবই জরুরি। গ্রন্থটি প্রকাশে যাদের সার্বিক সহযোগিতা পেয়েছি তাদের সবার জন্য আল্লাহর নিকট দু‘আ করি, তিনি যেন তাদেরকে উত্তম বিনিময় দান করেন। বইটিতে কোন প্রকার ত্রুটি-বিচ্যুতি পরিলক্ষিত হলে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে পরবর্তী সংস্করণে সংশোধন করার প্রতিশ্র“তি রইল। পরিশেষে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নিকট বিনীত ও কায়মনো বাক্যে দু‘আ করি “হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি আমাদেরকে দুনিয়াতে কল্যাণ দান করো এবং আখিরাতেও। আর আমাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা করো।