কুয়ালালামপুর বাতুগুহায় হিমানি নকল বাঘের গর্জন শোনার পর হিসহিসিয়ে বলল, ডিএসপি, গেট রেডি। এক্ষুনি লালচোখ বাঘ আসবে। শুধু বাঘ নয়, বাঘের পেছনে মানুষ। সত্যি সত্যি তাই হলো। গুহার ছাদে ফোকল দিয়ে ছিটকে আসা চাঁদের আলোয় বাঘের অস্তিত্ব স্পষ্ট হয়। ডিএসপি, শুট হিম। প্লিজ, শুট হিম অ্যাট ওয়ান্স। হিমানি নির্দেশের মতো করে বলল। সঙ্গে সঙ্গে ইতালিয়ান বেরেটা অটোমেটিক পিস্তল কক্ করে ক্ষিপ্রহাতে ট্রিগার টানলেন কুশারি। কিন্তু একটু বোধ হয় দেরি হয়ে গেল। বাঘ আজ সত্যি সত্যি লাফিয়ে নামল। এবং তারপর...! সে এক লোমহর্ষক রক্তারক্তি কাণ্ড। হিমানির হিসেবে একটু ভুল ছিল। ওটা আসল বাঘ নয়, বাঘের ডামি। গুড়ুম! গুড়ুম! বাতুগুহার ভেতরে অতিন্দ্রিয় নৈঃশব্দ নিমিষে কাচের কাপ-পিরিচের মতো ভেঙে খানখান হয়ে গেল। বাঘদুটো ওদের গায়ে পড়া মাত্র হুটোপুটি শুরু হয়ে যায়। সঙ্গে মর্মভেদী আর্তচিৎকার। যেন সত্যি সত্যি বাঘে ধরেছে কাউন্টার-টেররিজম ইউনিটের চৌকস পুলিশবাহিনীকে। কুখ্যাত ড্রাগমাফিয়া জে. কে. ওরফে জিবরান খলিলি ওরফে কোহেলি রমজান! আইরিশ পর্যটক ডেভিডকে খুন করে সে নিজেই ফেঁসে যায়। তার গুণের কমতি নেই। জে. কে. একজন চৌকস ট্যাক্সিডার্মিস্ট। পশুপাখির ডামি বানিয়ে সে ইতোমধ্যেই বহুত নাম কামিয়েছে। কিন্তু এত কিছু করেও তার শেষরক্ষা হলো না। বাতু গুহার কোটরে লুকিয়ে থেকে অবশেষে তার মৃত্যু হয় বিষাক্ত র্যাটল স্নেকের ছোবলে! উদ্ধার হয় দশ কেজি ক্যানাবিস পাউডার।