সুন্দরবনের নিকটবর্তী নিঝুমপুর অজপাড়া গাঁ। অঙ্কের মাস্টার বাবরালী স্যার চাকরির প্রথম দিনেই জেনে যান সূর্যাস্ত আইন। সূর্য ডোবার সাথে সাথে গোটা নিঝুমপুর নিস্তব্ধ হয়ে যায়। প্রতিটি বাড়ির দরজা বন্ধ করে আতঙ্কে রাত কাটায়। নেমে আসে অশরীরীরা। সারা গ্রাম টহল দেয়। প্রতিটি বাড়ির দরজায় কড়া নাড়ে। ভুলক্রমে বা সাহস করে কেউ রাতে বাইরে বের হলে সকালে তার বিকৃত মৃতদেহ পড়ে থাকে। অঙ্কের মাস্টারের হিসাব মেলে না। রাতে বের হয়ে মুখোমুখি হন অশরীরীর। তারপর...? মাঝরাত। চাঁদ উজ্জ্বল হয়ে আলো ছড়াচ্ছে। হাতে অনেক কাজ। বাবরালী স্যার হ্যারিকেন হাতে গোপন ঘরটা খুঁজে বের করলেন। সেখানে সারি সারি বিভিন্ন ভৌতিক আবরণ। মুখোশ, রং, সরঞ্জামাদি, মাটির বিকৃত হাত ভাঙা, পা ভাঙা মূর্তি। খাঁচায় বন্দি কুকুরগুলো ডেকেই চলছে। ঘরের ভেতর একটা বিশাল ভারী লোহার রড। তিনি বীভৎস পোশাকটা পরলেন। পোশাকের ভেতর থেকে কেমন যেন পচা লাশের গন্ধ ভেসে আসছে। গন্ধটা আরেকটু বাড়াতে খুঁজে পেতে দুর্গন্ধের শিশিটা পেলেন। কিছুটা মাখালেন পোশাকে। তারপর লোহার রডটা হাতে তুলে নিলেন। কুকুরের খাঁচা খুলে একটা শিকলবাঁধা কুকুরকে বের করে আনলেন। তারপর কুকুর তাকে আক্রমণ করার আগেই শুরু করলেন পেটানো। পৈশাচিক আনন্দে মুখ উদ্ভাসিত হয়ে উঠল তার। কুকুরটাকে পিটিয়ে মেরে শিকল ধরে টানতে টানতে বারান্দার কাছে নিয়ে এলেন। ঘরের ভেতরে হেডস্যারের লাশটার গলায় মোটা একটা দড়ি পরালেন। তারপর দুহাতে কুকুর ও হেডস্যারের লাশ টানতে টানতে বাড়ির বাইরে নিয়ে এলেন। লোহার রড দিয়ে থেঁতলে দিলেন হেডস্যারের মাথাটা। তারপর থপ থপ থপ শব্দ করে বেরিয়ে পড়লেন গ্রামে। প্রতিটি বাড়ির দরজার সামনে থেমে দরজার গায়ে লোহার রড দিয়ে বীভৎসভাবে পিটলেন কয়েকবার। হেডস্যারের থেঁতলানো শরীর থেকে নেয়া রক্ত মাখিয়ে দিলেন দরজার গায়ে। তারপর হেঁটে চললেন আরেকটা বাড়ির দিকে। থপ! থপ!! থপ!!!
প্রিন্স আশরাফ জন্ম গ্রহণ করেন সাতক্ষীরার বড়দলে, ৪ ফেব্রুয়ারি । বাবা ডা. সফেদ আলী সানা। মা সাহারা বানু। পেশায় চিকিৎসক হয়েও লেখালেখিতে ঝােঁকটা বেশি। দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক, সাপ্তাহিক, পাক্ষিক এবং মাসিক পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত লিখছেন । রহস্য, থ্রিলার, হরর, অতিপ্রাকৃত, সায়েন্স ফিকশন লিখলেও মূল ধারার গল্প-উপন্যাসেই আগ্রহটা চোখে পড়ে। শিশু সাহিত্যেও সমান পদচারণা। লেখালেখির পাশাপাশি আলাে ও ছায়া নামে সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনা করছেন । দৈনিক যায়যায়দিনের সম্পাদনা সহকারীর দায়িত্বে আছেন । বৈশাখী চ্যানেলে নাটক লিখে পুরস্কৃত হয়েছেন । ব্যক্তিগত জীবনে স্ত্রী সুলেখিকা তাহমিনা সানি ও একমাত্র কন্যাসন্তান সারাহকে নিয়ে সুখী গৃহকোণ ।