জিপসি জীবন-২ যশোর থেকে রাজশাহী সিদ্দিক মাহমুদুর রহমান জিপসি জীবন-২ পিতামহ শাহ্ আহমদ নূর আল মাক্কি ব্রিটিশ ভারতে ১৮৫৬ সালে এসেছিলেন জিপসি হয়ে, ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে। বাবা ফজলুর রহমান সারা জীবন কাটিয়েছেন জিপসি হয়েই। ফজলুর রহমানের কনিষ্ঠ সন্তান লেখক সিদ্দিক মাহমুদুর রহমান গত ৭৭ বছর ধরেই জিপসি’র মতোই জীবন যাপন করে আসছেন। এ জন্যই প্রকাশিতব্য তার চারটি জীবনী গ্রন্থের মূল থিম হলো “জিপসি জীবন-২”। কোলকাতা, ১৬৯০ সাল থেকে অবিভক্ত ভারতের পূর্বাঞ্চলের রাজনীতি, অর্থনীতি, ধর্ম, সমাজজীবন, সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে প্রভাবিত করে এসেছে। এ ধারা স্তব্ধ হয়ে যায়নি বর্তমান শতকেও। ১৯৫৩ সালের এক সন্ধ্যায় একটি ছয় বছরের শিশু এ শহরে প্রখম পা রেখেছিল ভিন্ন একটি দেশ থেকে, ভিন্ন সংস্কৃতির চিহ্ন গায়ে মেখে, এসেছিল মায়ের আঁচল ধরে। তারপর পার হয়েছে দীর্ঘ বারটি বছর। সে মিশে গিয়েছিল এ শহরের রোদ, বৃষ্টি, ঝড়, বাতাসের সাথে, মানুষের সাথে। এই ভিন্ন সংস্কৃতির আবহাওয়ায় শ্বস নিয়ে চারটি ঋতুকে বিভিন্ন রূপে দেখেছে ও। দেখেছে মানুষ, দেখেছে তাদের আচার ব্যবহার, দেখেছে জীবন আর জীবিকা। এই এক’শ চুয়াল্লিশ মাসের অভিজ্ঞতাই বর্ণিত হয়েছে ‘যশোর থেকে রাজশাহী’ গ্রন্থের পাতায় পাতায়।
জন্ম ৪ সেপ্টেম্বর ১৯৪৬, যশোরে। স্কুল জীবন (১৯৫৩-১৯৬৫) কলকাতায় পিতার চাকুরীসূত্রে, কলেজ জীবন (১৯৬৫-৬৯) যশোরে। স্নাতক পাশ করার পর মুক্তিযুদ্ধের কারণে স্নাতকোত্তর শেষ করতে পারেননি। প্রায় এক দশক সমাজসেবায় আত্মনিয়োগ করার পর ১৯৮০ সালে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করে শিক্ষা, প্রশাসন, প্রকাশনা, সম্পাদনা, অনুবাদ, সমন্বয়, জনসংযোগ বিভিন্ন পেশায় ও দায়িত্বে ছিলেন দীর্ঘ ত্রিশ বছর। সিদ্দিক মাহমুদ অনুবাদকর্মে দেখিয়েছেন অসামান্য দক্ষতা। এ যাবত অনুবাদ করেছেন প্রায় তিন হাজার বাংলা কবিতা, প্রকাশিত হয়েছে পঁচাত্তরটি গ্রন্থ। এছাড়াও তাঁর রয়েছে বেশ কয়েকটি গবেষণাগ্রন্থ, উপন্যাস, স্মৃতিকথা, গল্পগ্রন্থ ও কবিতার বই।