আবেগ-আচরণ-ব্যক্তিত্ব ও মন-ব্রেইন সম্পর্ক, উদ্বেগ-টেনশন-অস্থিরতা: হতাশা-বিষণ্নতা-হীনমন্যতা ও মাদকাসক্তি নিরাময়ে বিশ্ব-স্বীকৃত ও পরীক্ষিত মনোবৈজ্ঞানিক কৌশলসমূহ
"মন ও মানুষ-৩" বইটিতে ফ্ল্যাপে লিখা কথা জীবনে বেঁচে থাকতে হলে দুঃখ-কষ্ট, সমস্যা, দ্বন্দ্ব, উদ্বেগ, হতাশাসহ নানাবিধ যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে আমাদের যেতে হয়। এসব কোনো রোগ নয়, তবে জীবনের বিড়ম্বনা। এই বইয়ে এসব দৈনন্দিন কষ্ট, হয়রানি ও বিড়ম্বনাকে সর্বাধুনিক বিজ্ঞানসম্মত কৌশল প্রয়োগ করে নিজেই নিজেকে কিভাবে কাউন্সিলিং/ সাইকোথেরাপি দিবেন, সে ব্যাপারে সহজবোধ্য টিপস্গুলো দেওয়া হয়েছে। নানাবিধ আবেগগত, আচরণগত, পেশাগত, পারিবারিক ও সামাজিক সমস্যা আমাদেরকে ঘিরে থাকে। জীবনের গুণগত মান আরো উন্নত হতে পারতো, আমরা আরেকটু সুখি, সফল, সম্মানিত ও তৃপ্ত জীবন-যাপন করতে পারতাম। বিশেষজ্ঞের চেম্বারে গিয়ে সাইকোথেরাপি/ কাউন্সিলিং করার সময়-সুযোগ আমাদের সব সময় হয়ে ওঠে না। বিশেষজ্ঞদের সেই সব কাউন্সিলিং-এর সার-সংক্ষেপ এই বইতে বিবৃত করার চেষ্টা করা হয়েছে যাতে, ঘরে বসে পরিবারের প্রতিটি সদস্য তাদের স্ব-স্ব সমস্যা উৎকণ্ঠাগুলোকে নিরসন করে, জীবনের সঙ্গে ভালোভাবে খাপ-খাওয়ানোর পদ্ধতিগুলো রপ্ত করে আত্মনির্মাণে সফল ব্যক্তিত্বগঠনে সক্ষম হন। সাধারণ মানুষ ছাড়ও সকল ধরনের ডাক্তার, মেডিকেলের ছাত্র-ছাত্রী, মনোবিজ্ঞানের ছাত্র-ছাত্রী, এনজিও কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট পেশার লোকদের জন্য এটি একটি রেফারেন্স বই হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। এই বইয়ের কোনোকিছুই আমার ব্যক্তিগত আবিষ্কার নয় বরং শ্রেষ্ঠ চিন্তাবিদ, গবেষক ও বিজ্ঞানীদের গবেষণার ফসল, যা আমি আপনাদের হাতে তুলে দিতে চেয়েছি।
অধ্যাপক ডা. মােঃ তাজুল ইসলাম একজন সাইকিয়াট্রিস্ট (মনােরােগ বিশেষজ্ঞ)। জন্ম : চাঁদপুর জেলার মতলব থানাধীন পশ্চিম বাইশপুর (বালুচর)। গ্রামে। পিতা : দেওয়ান আবদুল খালেক। তিনি মতলবগঞ্জ হাইস্কুল থেকে এসএসসি, ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করেন। ১৯৯২ সালে সাইকিয়াট্রিতে উচ্চতর এফসিপিএস ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হিসেবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মিটফোর্ড হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি অধ্যাপক হিসেবে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে কর্মরত রয়েছেন। মানসিক রােগের চিকিৎসা বিষয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য হু-এর ফেলােশিপ অর্জন করেন ব্যাংকক, থাইল্যান্ড থেকে। পরবর্তী সময় আরাে উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। জাইকা ফেলােশিপ পান জাপান থেকে। মনােসামাজিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও স্বাস্থ্য সাময়িকীগুলােতে যেসব মনোেরাগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ লিখে আসছেন, তিনি তাদের মধ্যে প্রথম সারির একজন। তার মনের সুখ মনের অসুখ ও ‘মানসিক সমস্যা : ধরন কারণ ও প্রতিকার’ ‘শিশুবিকাশ-১, ২, ৩’, ‘টিন-এজ মন : সমস্যা ও সমাধান, ‘উদ্বেগ-টেনশন : মনােবৈজ্ঞানিক সমাধান, ব্যক্তিত্ব ও আত্মমর্যাদাবােধ : সবল ও মজবুত করার মনােবৈজ্ঞানিক কৌশল” শিরােনামের মনােবিজ্ঞানের বইগুলাে ইতােমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। ডাক্তার ও মেডিকেল কলেজের ছাত্রছাত্রীদের জন্য একটি ইংরেজি ম্যানুয়েলও তিনি প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও তার অনেক মৌলিক গবেষণা-কর্ম রয়েছে। এখনাে লেখালেখি ও গবেষণা কর্মে নিজেকে নিয়ােজিত রেখেছেন। তিনি এক ছেলে ও এক কন্যা সন্তানের জনক।