বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কোনো পণ্য বা সেবা গ্রহণের পূর্বে আমরা যাচাই-বাছাই করে ক্রয় করি। এমনকি আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য যেমন, চাল কিনতে বাজারে গিয়ে হাতে নিয়ে দেখছেন চিকন না মোটা। দু'চারটে মুখে দিয়ে চাবিয়ে দেখছেন। ঘ্রাণ নিয়ে বুঝতে চেষ্টা করছেন। এরপর দোকানির কাছে জানতে চাইছেন চাল কেমন হবে, নতুন না পুরনো, ভাত ভালো হবে কিনা ইত্যাদি ইত্যাদি অনেক ধরনের প্রশ্ন করে বিক্রেতার কাছে সন্তোষজনক উত্তর পাবার পরেই তা ক্রয় করছেন। আবার কাপড় কিনতে গিয়ে আপনার মনের মধ্যে প্রশ্ন- সুতা কেমন, রং উঠবে কিনা, টেকসই হবে কিনা, দেশি না বিদেশি, কোন কোম্পানি ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু বীমা দেখা যায় না, ধরা যায় না, ছোঁয়া যায়না, সম্পর্কের খাতিরে শুধুমাত্র বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে বীমা ক্রয় করতে হয়। এর পাশাপাশি যদি নির্ভরযোগ্য তথ্য-উপাত্ত সম্পর্কে জেনে-বুঝে বীমা করা যায় তাহলে কেমন হয়? বীমা বিক্রয় পেশায় দীর্ঘদিন সম্পৃক্ত থাকায় অসংখ্য শিক্ষিত লোকের মুখে বলতে শুনেছি- আপনার কাছে এমন কোন বই আছে যা পড়ে সহজেই বীমা সম্পর্কে জানতে পারবো থাকলে দিয়ে যান। আজ পর্যন্ত এমন কোনো বই পায়নি যা শুধুমাত্র গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। সে কারণে আমার মনে দীর্ঘদিনের সুপ্ত আকাঙ্ক্ষা ছিল শুধুমাত্র বীমা গ্রাহকদের উদ্দেশ্যেই একটি বই লেখার, যা পড়ে খুব সহজে যেকেউ বীমা সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা পাবে। আশাকরি আমার লেখা ৬ষ্ঠ বই ‘বীমা সহায়িকা’ পাঠকদের ভালো লাগবে। বিশেষ করে বীমা গ্রাহক ও নতুন কর্মীরা জানা-অজানা বিষয়ের সংমিশ্রণে নতুনত্ব খুঁজে পাবে। তাই নিজে পড়ুন ও অন্যকেও উপহার দিন।
বীমা ব্যক্তিত্ব মো. মাহমুদুল ইসলাম পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন বীমা শিল্পকে। তাঁর মনন, মেধা, শ্রম ও দক্ষতা পুরোপুরি নিয়োগ করেছেন বীমা খাতের উন্নয়নের কাজে। তিনি একাধারে একজন জ্ঞানপিপাসু এবং জ্ঞান বিতরণকারী। তাছাড়াও তিনি একজন পুস্তক রচয়িতা, প্রশিক্ষক এবং অনুষ্ঠান উপস্থাপক। তিনি নিরবচ্ছিন্ন এবং নিরলসভাবে বীমাখাতের উন্নয়ন ও জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির জন্যে কাজ করে যাচ্ছেন। জনাব মাহমুদুল ইসলাম দেশের স্বনামধন্য জীবন বীমা প্রতিষ্ঠানে, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত আছেন। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় বিবিএস (অনার্স), এমবিএস (ম্যানেজমেন্ট) বিষয়ে তিনি কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন। এরপর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন ডিপ্লোমা এবং এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। লেখকের জন্ম জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলায়। তিনি এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের জনক। ব্যক্তিজীবনে নিরহংকারী, সদা হাস্যজ্জল ও অত্যন্ত সুখী একজন মানুষ।