ফ্ল্যাপে লিখা কথা সেনরাজার শাসন থেকে স্খলিত হয়ে যাচ্ছে দেশে, তুকী আক্রমণ অত্যাসন্ন। তবু সামন্ত মহাসামন্তদের অত্যাচারের শেষ নেই। সেই অত্যাচা রুখে দাঁড়ায় কখনো অন্ত্যজরা , কখনো... See more
TK. 340 TK. 299 You Save TK. 41 (12%)
* স্টক আউট হওয়ার আগেই অর্ডার করুন
কমিয়ে দেখুন
বাংলাদেশে এই প্রথম "অনলাইন বাণিজ্য মেলা" ১ লক্ষাধিক পণ্যে ৭৫% পর্যন্ত ছাড়! সাথে BOGO, 100+ Bundle, ফ্রি শিপিং সহ আকর্ষণীয় সব অফার!
বাংলাদেশে এই প্রথম "অনলাইন বাণিজ্য মেলা" ১ লক্ষাধিক পণ্যে ৭৫% পর্যন্ত ছাড়! সাথে BOGO, 100+ Bundle, ফ্রি শিপিং সহ আকর্ষণীয় সব অফার!
ফ্ল্যাপে লিখা কথা সেনরাজার শাসন থেকে স্খলিত হয়ে যাচ্ছে দেশে, তুকী আক্রমণ অত্যাসন্ন। তবু সামন্ত মহাসামন্তদের অত্যাচারের শেষ নেই। সেই অত্যাচা রুখে দাঁড়ায় কখনো অন্ত্যজরা , কখনো বৌদ্ধেরা। শাসকদের বিশেষ রোষ তাই তাদর উপরেই । তাদেরই একজন প্রশ্ন করেন : ‘দেখো, এই কি মানুষের জীবন? সুখ নাই, স্বতি নেই, গৃহ নেই, কেবলি প্রাণ নিয়ে পলায়ন করতে হচ্ছে-এর শেষ কোথায়? এ জীবন কি যাপন করা যায়? বলো, কতো দিন এভাবে চলবে?’
ইতিহাসের সেই প্রদোষকালের জটিল আবর্তে ঘূর্ণ্যমান কয়েকজন প্রাকৃত নরনারীরির কাহিণী বিবৃত হয়েছে এই উপন্যাসে। ইতিহাসে তাদের নাম নেই। হয়তো অন্য নামে তারা বাস করেছে সেই কালে, হয়তো অন্য কালেও। মৃৎশিল্পী শ্যামাঙ্গের যত্নকৃত শিল্প রজচনায় কেন ছেদ পড়ে, কিসের অন্বেষণে তাকে নিরুদ্দেশযাত্রা করতে হয়? স্বামী পরিত্যক্তা লীলাবতী কী চায়, কেন পায় না? মায়াবতীর কোমল বাহুবন্ধন ছিন্ন করে বসন্তদাস কেন মিত্রানন্দের সঙ্গী হয়?
মানুষকে স্বপরিচয়ে উঠে দাঁড়াতে বলে মিত্রানন্দ, নতজানু দাসত্ব থেকে মুক্ত হতে বলে। এর বেশি সে জানে না, জানবার আবশ্যকতাও বোধ করে না। বসন্তদাসও চায় প্রচলিত ব্যবস্থা বিধ্বস্ত করতে, কিন্তু সে আরও জানতে চায় যে, তার পরিবর্তে কী পাবে সকলে?
এসব প্রশ্নের মীমাংসা হবার আগেই ইতিহাসের ঝঞ্ঝা এসে তাদর সমূলে উৎপাটিত করে। কিন্তু এইসব জিজ্ঞাসা আর ভালোবাসা ,স্বপ্ন আর প্রয়াসের সারাৎসার তারা সঁপে দিয়ে যায় উত্তরসূরীদের হাতে।
বড়ো যত্নের সঙ্গে শওকত আলী লিখেছেন তাদের কথা, সেই সময়ের কথা। গবেষণার সঙ্গে এই বইতে যুক্ত হয়েছে দরদ, তথ্যের সঙ্গে মিলেছে অন্তর্দৃষ্টি, মনোহর ভঙ্গির সঙ্গে মিশেছে অনুপম ভাষা। ‘প্রদোষে প্রাকৃতজন’ আমাদের উপন্যাসের ধারায় একটি স্মরণীয় সংযোজন। আনিসুজ্জামান
শওকত আলীর (জন্ম: ১২ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৬ - ২৫ জানুয়ারি, ২০১৮)। জন্মস্থান পশ্চিম বাংলার পশ্চিম দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ। স্কুলের পড়াশোনা শ্ৰীরামপুর ও রায়গঞ্জে। দেশ-বিভাগের চার বছর পর তাঁর চিকিৎসক পিতা সপরিবারে দিনাজপুর শহরে চলে এলে শওকত আলী সুরেন্দ্রনাথ কলেজে ভর্তি হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে কলেজ শিক্ষকতায় নিয়োজিত হন। ঢাকার জগন্নাথ কলেজে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ে দীর্ঘ পাঁচিশ বছর অধ্যাপনা করার পর বর্তমানে তিনি সরকারী সংগীত মহাবিদ্যালয়ে অধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত। একটি ছোট উপন্যাস ‘পিঙ্গল আকাশ” (১৯৬৪) তাঁর প্রথম প্রকাশিত বই। এর পর প্রকাশিত হয়েছে। দুটি ছােটগল্প সংকলন ও একটি উপন্যাস। শিশুকিশোরদের জন্যেও তিনি লিখে থাকেন। বাংলা ছোটগল্পে বিশেষ অবদান রাখার জন্য শওকত আলী বাঙলা একাডেমি পুরস্কার পান ১৯৬৮ সালে। ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশ লেখক শিবির তাঁকে হুমায়ুন কবির স্মৃতি পুরস্কার প্রদান করে। এ ছাড়াও তাঁকে ১৯৮৩ সালে অজিত গুহ স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার, ১৯৮৬ সালে ফিলিপূস সাহিত্য পুরস্কার, ১৯৮৯ সালে আলাওল সাহিত্য পুরস্কার এবং ১৯৯০ সালে রাষ্টিয় পুরস্কার ২১শের পদকে ভূষিত করা হয়। নৃতত্ত্ব, সমাজবিজ্ঞান ও ইতিহাসে তাঁর আগ্ৰহ অত্যন্ত গভীর। বাংলার প্রায়—লুপ্ত ও ঝাপসা ইতিহাসে তাঁর সৃজনশী অনুসন্ধান আমাদের সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করতে সাহায্য করেছে।
শ্যামাঙ্গর মৃত্যু কি অনিবার্য ছিল? লেখক বলেছেন হ্যাঁ ছিল। শ্যামাঙ্গর মৃত্যু আমি মেনে নিতে পারিনি, বারবার লীলাবতীর কথা ভেবেছি, সে তো একটা পরিপূর্ণ জীবন চেয়েছিল।কিন্তু শ্যামাঙ্গকে ছাড়া লীলার জীবন কি পরিপূর্ণ হতে পারে? আমার কল্পনায় লীলাবতীকে খুব যত্নে রেখেছি। অভিমন্যুকে মেরে ফেলেছি। বসন্তদাস আর মায়াবতীকে গৃহকোনে বেঁধেছি।যদিওবা কেবল আমার কল্পনায়। উপন্যাসটি পড়ে শেষ করলে আপনিও আমার মত চরিত্রগুলো নিয়ে ভাববেন, আনমনা হবেন হয়তোবা আবেগাপ্লুত হবেন।
Read More
Was this review helpful to you?
By Mahbubul Haque,
14 Sep 2022
Verified Purchase
বখতিয়ার খিলজির অতি অল্প সংখ্যক সৈন্য নিয়ে বাংলা জয়ের কাহিনী সবার জানা । অনেকটা বিনা বাধায় বাংলা জয় করেছিলেন তিনি। কিন্তু কেন তিনি এত সহজে বাংলা জয় করতে পেরেছিলেন? তার উত্তর এই বইয়ে পাওয়া যাবে। সেই সময়ের সমাজের মানুষদের সাথে ততকালিন শাসকদের আচরণ, বিশেষকরে বরেন্দ্র অঞ্চলের সেই সময়ের সামাজিক অবস্থা, কষ্ট, ভালবাসা, শাসকদের নির্যাতন এবং বৌদ্ধ ভিক্ষুদের সেসময়ের রাজনীতিতে বিচরণ সবই বইটিতে অনেক সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ।
Read More
Was this review helpful to you?
By Dr. Md. Mahabub Hossain,
12 Feb 2021
Verified Purchase
এক কথায় অসাধারণ একটি উপন্যাস। পড়ার সময় মনে হচ্ছিল যেন প্রাচীন বাংলার পথ-প্রান্তরে হেঁটে চলেছি, যেন ঘটনা প্রবাহগুলো চোখের সামনে ঘটছে। কোন লেখককে অমরত্ব দিতে একটা বই যে যথেষ্ট-এটি তার জলন্ত উদাহরণ। পড়ার শেষে মনে হলো বইটা আরো কেন বড় হলো না!
Read More
Was this review helpful to you?
By AWLAD HOSSAIN,
26 Feb 2022
Verified Purchase
আমার পড়া প্রিয় কয়েকটি বইয়ের একটি। শব্দচয়ন ও ভাষা শৈলী এতো চমৎকার যে; না পড়লে বুঝতেই পারতাম না, এতো মনোমুগ্ধকর বইও আমাদের সাহিত্যিকরা রেখ গেছেন!
Read More
Was this review helpful to you?
By Farhanur Rahman,
13 Jul 2018
Verified Purchase
বইয়ের প্রথমে এত কঠিন ভাষা ব্যবহার না করলে বইটি আরো বেশি সুখপাঠ্য হত। তবে বইটি যে সময়কাল নিয়ে রচিত তার মূল্যায়নে বইটা বাংলা সাহিত্যে অদ্বিতীয় ।
Read More
Was this review helpful to you?
By Delower Hossan,
17 Jun 2021
Verified Purchase
১৩ শতকের বাংলার ভাগিরথী নদীর পাড়ের মানুষের আখ্যান। ইতিহাসকে এমনভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, যেন এই বইয়ে আপনি সেই সময়ে ঘুরে আসতে পারবেন।
Read More
Was this review helpful to you?
By Jakir Hossain Akand,
03 Dec 2018
Verified Purchase
সাহিত্যিক হিশেবে অমরত্মের জন্য শত শত বই লাগেনা; এরকম একটি বইই যথেষ্ট।