সমকালে আলােচিত শিল্পসাহিত্য, কবিতা ও নন্দনচিন্তার কতিপয় বিষয় নিয়ে বােধ ও বাতিতে আলােকপাত করা হয়েছে। এই বইয়ে তিন ধরনের লেখার সমাবেশ আছে। প্রথম ভাগে শিল্পীমনের গভীরে লেখকের যে সংবেদনশীল সত্তা লেখা তৈরিতে নানা প্রেরণা ও তাড়নার সঞ্চার করে তার খসড়ার বিভিন্ন রূপ বের করা হয়েছে। কবির বিশ্বাস, লেখায় তার বাক ও কবিতার নির্মিতি কীভাবে কবিমনে আলাে ফেলে তার উপর বিশ্লেষণ আছে। আছে একটি নিরীক্ষাধর্মী লেখাও, যেখানে প্যারামিটারের বিচারে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক কবিতার অর্জনগুলাে শনাক্ত করা হয়েছে। দ্বিতীয় ভাগে রবীন্দ্রনাথের বানান সংস্কার নিয়ে দুটি বিশ্লেষণাত্মক লেখা আছে। বাংলা ভাষার ভিত প্রতিষ্ঠা ও বাংলা বানানের প্রমিত রীতির জন্য রবীন্দ্রনাথ কী না করেছেন। বানান সংস্কার সমিতির প্রতিষ্ঠাসহ নিজে বাংলা বানানে শুদ্ধতা ও সমতা রক্ষা এবং উচ্চারণে যথােপযুক্ততা বজায় রাখার ব্যাপারে। তিনি নিজে লিখেছেন কয়েকটি বই। রবীন্দ্রনাথের এই অবিস্মরণীয় প্রয়াসকে উন্মােচন করা হয়েছে। তৃতীয় ভাগটিতে যুক্ত হয়েছে গত একদশকে চলে যাওয়া ছয় লেখকের প্রস্থানমুহূর্ত, তাঁদের কৃতিবােধ ও সৃষ্টিসম্ভারের মূল্যায়নধর্মী পরিচয়। শামসুর রাহমান, আবদুল মান্নান সৈয়দ, হুমায়ুন আজাদ, আবিদ আজাদ, সঞ্জীব চৌধুরী এবং সর্বসাম্প্রতিক আপন মাহমুদের সৃষ্টিকুশলতাকে আবিষ্কার করা হয়েছে এই আলােচনায়।