"পেশা যখন বিক্রয়" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: বিক্রয়কর্ম একদিকে বিজ্ঞান, অন্যদিকে শিল্প। বিজ্ঞান ও শিল্পের সুন্দরতম প্রয়ােগেই বিক্রয় লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়। বিক্রয়ের সবচেয়ে আকর্ষণীয় কৌশল হচ্ছে মানুষকে সঠিকভাবে বুঝতে পারা। আসলে কোন কিছুই বিক্রি হয় না বিক্রি করতে হয়। বিক্রয়কর্মী/ব্যবস্থাপক হিসেবে আমাদের দায়িত্ব ক্রেতাকে তার প্রয়ােজনের ক্ষেত্রটি দেখিয়ে দেয়া। পেশা হিসেবে বিক্রয়কর্ম আজ সুপ্রতিষ্ঠিত। বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মানুষ এখন বিক্রয় সংশ্লিষ্ট পেশায় নিয়ােজিত। অথচ গুরুত্বপূর্ণ এই পেশাজীবীদের জন্যে নেই কোন সহায়ক নির্দেশিকা; ইচ্ছে থাকলেও নবাগতদের নেই প্রশিক্ষণ গ্রহণের সুযােগ। ব্যবসায় প্রশাসনে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে যারা বিভিন্ন কোম্পানির বিক্রয় ব্যবস্থাপক পদে যােগ দেন, কার্যত তারা সম্পূর্ণ নতুন একটি জগতে ঢুকে বিপাকে পড়ে যান। কী করতে কী করবেন, বুঝে উঠতে পারেন না। এই বাস্তবতা উপলব্ধি করে খ্যাতিমান লেখক, গবেষক ও মুক্ত সাংবাদিক রাজিব আহমেদ সেই শূন্যতা পূরণে এগিয়ে এসেছেন। লেখক সুদীর্ঘ চার বছর দু'টি বিশ্বখ্যাত বহুজাতিক দ্রুত বিক্রয়যােগ্য ভােগ্যপণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকারী কোম্পানির বিক্রয় ব্যবস্থাপক হিসেবে তৃণমূল পর্যায়ে সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছেন। সেই সময়ে অর্জিত অভিজ্ঞতা আর পেশাগত প্রশিক্ষণের সুস্পষ্ট প্রতিফলন রয়েছে এই বইটিতে। এখানে বিক্রয় ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সামগ্রিক আলােচনা করা হয়েছে। এই বইটি নিঃসন্দেহে বিক্রয় পেশায় নবাগতদের জন্যে সহায়ক নির্দেশিকার ভূমিকা পালন করবে। পাশাপাশি বিক্রয়কর্মে নিয়ােজিতদের পেশাগত মানােন্নয়নে অবদান রাখবে।
জীবন ঘনিষ্ঠ বহুমাত্রিক লেখক রাজিব আহমেদ বাংলা মননশীল সাহিত্যকে ক্রমেই সমৃদ্ধ করে চলেছেন। তিনি বাংলাদেশের অন্যতম বিক্রয় ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ। মোট প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৫০ অতিক্রম করে গেছে। বাংলাদেশে আত্মোন্নয়নমূলক অভিনন্দন লাভ করেছেন। রাজিব আহমেদ চারটি স্বনামধন্য বহুজাতিক কোম্পানিতে (রেকিট বেনকিজার, ইউনিলিভার, বাংলালিংক ও রবি) দশ বছরের কর্মজীবন থেকে স্বেচ্ছায় ছুটি নিয়ে এখন মুক্ত বিক্রয় প্রশিক্ষক ও অনুপ্রেরণামূলক বক্তা; জয় করে চলেছেন অসংখ্য বিক্রয় পেশাজীবী, শিক্ষার্থী ও দর্শক শ্রোতার হৃদয়। লেখালেখি তার নেশা আর ভালোবাসেন দেশ-বিদেশে ঘুরে বেড়াতে।