হাজার বছরে বাঙালি জাতি ইতিহাসের বিভিন্ন ঘটনা ও বাঁক পেরিয়ে স্বাধিকারের পথ বেয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে নিজেদের আত্মপরিচয় প্রতিষ্ঠা করে। নিঃসন্দেহে মুক্তিযুদ্ধের কেন্দ্রে ছিলেন স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৪৭ সালে নতুন রাষ্ট্র পাকিস্তানের জন্ম হয়। পাকিস্তানে প্রথম থেকেই ব্রিটিশ শাসকগোষ্ঠীর নিকট হতে উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া কৃষক বিদ্রোহ বিদ্যমান ছিল। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য তেভাগা আন্দোলন, নাচোল বিদ্রোহ, নানকা বিরোধী আন্দোলন, টঙ্ক প্রথার বিরুদ্ধে আন্দোলন ও জমিদার প্রথা বিরোধী আন্দোলন। পাকিস্তানের জন্মের পূর্বেই রাষ্ট্রভাষা বিতর্ক শুরু হয়। ৪৮ সালে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা নিয়ে বিতর্ক প্রবল হয়। বাঙালি নতুন করে ভাষার দাসত্বে রূপান্তরিত হওয়ার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। ৫২ এর একুশে ফেব্রুয়ারিতে বাঙালি রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবি আদায় করতে গিয়ে আত্মাহুতি দেয়। জন্ম হয় নতুন ইতিহাস। একই ধারাবাহিকতায় শেখ মুজিবুর রহমান ৬৬ সালে বাঙালির মুক্তি সনদ ৬ ফা ঘোষণা করেন। বাঙালি অর্জন করে সুনির্দিষ্ট স্বায়ত্তশাসন ও স্বাধিকার-স্বাধীনতা অর্জনের পথরেখা। ৬৯ এ সংঘটিত হয় গণঅভ্যুত্থান। ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বিশ্বের মানচিত্রে জন্ম নেয় নতুন একটি শে বাংলাদেশ। এ বিষয়ের প্রেক্ষাপটে বাংলা ভাষায় কৃষক আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান ও ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অনেক উপন্যাস রচিত হয়েছে। বাংলাদেশের উপন্যাসের ভাষা, বিষয়, আঙ্গিক, কাঠামো বিবেচনায় স্বাধিকার আন্দোলন কীভাবে প্রতিফলিত হয়েছে বর্তমান গ্রন্থে তা আলোচনা ও বিশ্লেষণ করা হয়েছে। গ্রন্থপাঠে পাঠক উপলব্ধি করতে পারবেন বাংলাদেশের উপন্যাসে স্বাধিকার আন্দোলন, পরিপ্রেক্ষিত ও তার প্রবণতার স্বরূপ, তা কৃষক বিদ্রোহ থেকে উৎসারিত হয়ে কীভাবে মুক্তিযুদ্ধে সফল পরিণতি পায়।
Title
বাংলাদেশের উপন্যাস : কৃষক বিদ্রোহ থেকে মুক্তিযুদ্ধ