ইতিহাসকে এখন ভাগজোগ করা হয়। একটা ইতিহাস পশ্চিমের, যা পৃথিবীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আরেকটা অ-পশ্চিমের, গুরুত্বহীন। কিন্তু মানবজাতির ভাগ্য বিভাজিত অবস্থায় বিবর্তিত হয়নি। অন্তত ইয়োরেশিয়ার বিস্তীর্ণ ভ‚ভাগে তো নয়ই। মানবজাতির ইতিহাস একটা ‘সমগ্র’। যখন তা উন্নত হয়েছে, সমগ্রটা নিয়েই হয়েছে। কিন্তু আধুনিককালে এসে ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অংশটা ঠিক কিভাবে পশ্চিমে চলে গেল? অথচ বাস্তবতা হল যেখানে আজকের সভ্য ইয়োরপ দাঁড়িয়ে, স্থানটা অতিসাম্প্রতিক সময়ের পূর্ব পর্যন্ত পেরিফেরি ছিল, ছিল প্রান্তিক ও অনুন্নত সীমান্তভ‚মি। বিশ্ব-ইতিহাসে যার অবদান প্রায় শূন্যের কোঠায়! বিপরীতে, পশ্চিমের বাইরে যেন বলার মত ইতিহাস নেই। অথচ আজকের যা কিছু জ্ঞান ও আলো, তার পিছনে আছে ইসলামি সভ্যতা ও চৈনিক সভ্যতার অপরিসীম অবদান। ইতিহাসের সমস্ত মহান সভ্যতার অবস্থান ছিল ৪০ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশের দক্ষিণে। কিন্তু বর্তমান মানচিত্রে ঠিক চল্লিশ ডিগ্রি অক্ষাংশের উত্তরের দেশগুলো খুব স্পষ্ট, বেশ বড়। দক্ষিণের দেশগুলো নয়। কেন? ইতিহাস, ইসলাম ও ইয়োরোপ সম্পর্কে আমাদের মগজ ঠেসে আছে এরকম হাজারটা প্রশ্নে, একগাদা জঞ্জালে। যে জঞ্জাল বিগত কয়েক শতকে ধরে সঞ্চিত হয়েছে। বইটি সেসব জঞ্জাল ধুয়েমুছে সাফ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, ইনশাআল্লাহ। সেখানে হবে নতুন চিন্তার অঙ্কুরোদগম। যা অবশ্যই পূর্বেকারগুলোর চেয়ে অধিকতর সবুজ, অধিকতর সতেজ।