শিক্ষাজীবনের সকল ক্ষেত্রে ভালো ফলাফল করায় লিটনের জীবনের লক্ষ্য ছিল তার ডিপার্টমেন্টের শিক্ষক হওয়া। কিন্তু গ্রাম থেকে আসা লিটনের মধ্যে থাকা কিছু সেকেলে মনমানসিকতা, সৎপরায়ণতা এবং লবিংয়ের যোগ্যতার ঘাটতি তার লক্ষ্য পূরণের ক্ষেত্রে বড়ো বাধা হয়ে দাঁড়াল। সে বিবিএ শেষ বর্ষে এসে সিএ পড়ার ব্যাপারে দৃঢ় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল। আর এমবিএ পড়ার সময় ঐচ্ছিক কোর্স বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সে সিএ ইনস্টিটিউটের সিলেবাসের সাথে মিলিয়ে কোর্স নির্বাচন করল এবং এমবিএ ইন্টার্নশিপও সিএ ফার্ম থেকে সম্পন্ন করল। অবশেষে লিটন আগে থেকে নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সিএ পড়ার দিকে পা বাড়াল। সিএ কেন পড়ব বইটিতে সিএ পড়লে কত ধরনের বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হয় সেই বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। সিএ ইনস্টিটিউটের কিছু যুগোপযোগী সিদ্ধান্তের কারণে দ্রুত সিএ পাস করার যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে। একই সাথে শিক্ষাবৃত্তি ও সুদমুক্ত ঋণের সুবিধা গ্রহণ করে আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীরা কীভাবে সিএ পড়তে পারে সে সম্পর্কে পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা করা হয়েছে। এছাড়া সিএ পাস করে একজন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট কর্মজীবনে কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারবেন এবং চাকরি করতে না চাইলে স্বাধীনভাবে প্র্যাকটিস করে নিজে আয় করার পাশাপাশি কীভাবে আরও অনেকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারেন সে বিষয়গুলো প্রাঞ্জল ভাষায় তুলে ধরা হয়েছে। সার্বিক অর্থে সিএ পেশা সম্পর্কে জানার জন্য সিএ কেন পড়ব বইটির তুলনা মেলা ভার।
দেশের প্রথম শত্রুমুক্ত জেলা যশোরের অভয়নগর থানার অন্তর্গত মথুরাপুর গ্রামে আব্দুল্লাহ আল মামুনের পৈতৃক নিবাস। ছবির মতো সুন্দর এই গ্রামেই তাঁর জন্ম ও বেড়ে ওঠা। তিনি স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত শিক্ষাজীবনের সকল পর্যায়ে শিক্ষাবৃত্তি লাভ করেছেন। অদম্য মেধাবী মামুন ২০০৫ ও ২০০৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগ থেকে যথাক্রমে বিবিএ ও এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে ২০০৯ সালে দি ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে সিএ সম্পন্ন করেন। প্রথম সুযোগেই সিএ পরীক্ষার সবগুলো লেভেল পাস করার স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সিএ সার্টিফিকেট গ্রহণ করেন। ২০১৪ সালে অর্জন করেন আইসিএবি'র ফেলো মেম্বারশিপ। বর্তমানে মামুন দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় সিএ ফার্ম একনাবিন, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টসে ডিরেক্টর হিসেবে কর্মরত। বিচারক সহধর্মিণী, দুই সন্তান মানহা ও মাহাদ এবং মা-বাবার সঙ্গে তিনি ঢাকায় বসবাস করেন। কর্মজীবনের অসম্ভব ব্যস্ততার পাশাপাশি লেখালেখিতেও সিদ্ধহস্ত মামুন। ইতোমধ্যে তাঁর লেখা সিএ জীবনের গল্প এবং সিএ কেন পড়ব নামক বই দুটি সাধারণ শিক্ষার্থীসহ সকল শ্রেণির পাঠকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এছাড়াও, প্রকাশিত হয়েছে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং মনের ডায়েরি শিরোনামে তাঁর লেখা আরও দুটি গ্রন্থ। অমর একুশে বইমেলা ২০২৩ উপলক্ষ্যে প্রকাশিত সিএ কীভাবে পড়ব মামুনের লেখা পঞ্চম বই।