আমাদের দেশে অন্যান্য পেশার তুলনায় সিএ পেশা অপেক্ষাকৃতভাবে নতুন। দেখা গেছে, অধিকাংশ অভিভাবক তাঁদের সন্তানদের প্রচলিত পেশাগুলোয় দেখতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। অনভিজ্ঞতার কারণে তাঁরা কখনোই চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হিসেবে সন্তানকে দেখতে চান না। জনপ্রিয় চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, লেখক ও শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুন তাঁর সুদীর্ঘ অভিজ্ঞতার আলোকে সিএ জীবনের গল্প বইটি লিখেছেন। ভবিষ্যতের সিএ শিক্ষার্থীরা এই বইয়ের মাধ্যমে ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে। সিএ জীবনের গল্প বইটিতে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট লিটনের জীবনের গল্প ষোলোটি অধ্যায়ে বর্ণনা করা হয়েছে। এখানে তার ছেলেবেলা থেকে শুরু করে পেশাগত ডিগ্রি তথা চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্সি (সিএ) ডিগ্রি অর্জন করা পর্যন্ত শিক্ষাজীবনের নানা ঘাত-প্রতিঘাত ও চড়াই-উতরাইয়ের বিষয়গুলোর প্রতি আলোকপাত করা হয়েছে। লেভেল পাস নিয়মের সময় যেখানে বছরের পর বছর স্টুডেন্টরা সিএ পরীক্ষায় অকৃতকার্য হতো সেখানে লিটন কোনো লেভেলে একবারও অকৃতকার্য না হয়ে প্রথম সুযোগেই কীভাবে সিএ পরীক্ষার তিনটি লেভেল পাস করার অনন্য কীর্তি গড়ল সেই গল্প চারটি অধ্যায়ে বলা হয়েছে। অধ্যায়গুলো পড়লে একজন সিএ শিক্ষার্থী তাঁর সিএ পরীক্ষার প্রস্তুতি গ্রহণের গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা পেয়ে যাবেন। লেখকের পেশাগত জীবনের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতায় সিএ জীবনের গল্প বইটি হয়ে উঠেছে অনন্য।
দেশের প্রথম শত্রুমুক্ত জেলা যশোরের অভয়নগর থানার অন্তর্গত মথুরাপুর গ্রামে আব্দুল্লাহ আল মামুনের পৈতৃক নিবাস। ছবির মতো সুন্দর এই গ্রামেই তাঁর জন্ম ও বেড়ে ওঠা। তিনি স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত শিক্ষাজীবনের সকল পর্যায়ে শিক্ষাবৃত্তি লাভ করেছেন। অদম্য মেধাবী মামুন ২০০৫ ও ২০০৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগ থেকে যথাক্রমে বিবিএ ও এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে ২০০৯ সালে দি ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে সিএ সম্পন্ন করেন। প্রথম সুযোগেই সিএ পরীক্ষার সবগুলো লেভেল পাস করার স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সিএ সার্টিফিকেট গ্রহণ করেন। ২০১৪ সালে অর্জন করেন আইসিএবি'র ফেলো মেম্বারশিপ। বর্তমানে মামুন দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় সিএ ফার্ম একনাবিন, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টসে ডিরেক্টর হিসেবে কর্মরত। বিচারক সহধর্মিণী, দুই সন্তান মানহা ও মাহাদ এবং মা-বাবার সঙ্গে তিনি ঢাকায় বসবাস করেন। কর্মজীবনের অসম্ভব ব্যস্ততার পাশাপাশি লেখালেখিতেও সিদ্ধহস্ত মামুন। ইতোমধ্যে তাঁর লেখা সিএ জীবনের গল্প এবং সিএ কেন পড়ব নামক বই দুটি সাধারণ শিক্ষার্থীসহ সকল শ্রেণির পাঠকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এছাড়াও, প্রকাশিত হয়েছে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং মনের ডায়েরি শিরোনামে তাঁর লেখা আরও দুটি গ্রন্থ। অমর একুশে বইমেলা ২০২৩ উপলক্ষ্যে প্রকাশিত সিএ কীভাবে পড়ব মামুনের লেখা পঞ্চম বই।