একেনবাবু সমগ্র-র পঞ্চম খণ্ড-র পাণ্ডুলিপি প্রস্তুত করার সময়ে মনে মনে ভাবছিলাম, চুরি আর খুনোখুনি নিয়ে কত লেখা যায়! তাই ষষ্ঠ খণ্ড আর লেখা হয়ে উঠবে কিনা আমার ঘোরতর সন্দেহ আছে। পঞ্চম খণ্ড সম্পর্কে প্রথমেই একটা কথা বলি। এতদিন পর্যন্ত একেনবাবুর প্রকাশিত সব কাহিনিরই লিপিকার ছিলেন বাপিবাবু। একেনবাবু কলকাতায় ফিরে আসার পর থেকে একেনবাবুর নতুন কীর্তিগুলোর কথ। বাপিবাবু জানতেন না। এই খণ্ডের 'একেনবাবু ও বর্মণবাড়ি রহস্য' কাহিনিটি বাপিবাবু শুনেছিলেন একেনবাবুর পিসতুতো বোন রিনিতার কাছ থেকে। আমার স্ত্রী শমীতা দাশ দাশগুপ্তের সৌজন্যে এটি যুক্ত হয়েছে। 'ম্যানহাটানে মিস্ট্রি মার্ডার' আর 'প্রাইসলেস বুদ্ধ' ছাড়া সবকটি কাহিনিই বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় পূর্ব প্রকাশিত। নানান সময়ে লেখা কাহিনিগুলো খানিকটা এলোমেলোভাবেই এই খণ্ডে স্থান পেয়েছে। ওগুলোর মধ্যে সময়ের পারম্পর্য খুঁজতে গেলে পাঠকদের হতাশ হতে হবে। তার জন্য আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। এই খণ্ডের প্রুফ যত্ন করে দেখে দিয়েছে অমৃতা রায়। ভুলত্রুটি নজরে এনে সম্পাদনার কাজেও সাহায্য করেছে। তাও যদি কোনো ভুলভ্রান্তি থাকে, তার জন্য দায়ী সে- আমার কোনো দোষ নেই। পরিশেষে 'দ্য কাফে টেবল'-এর কর্ণধার, স্নেহের অভিষেক আইচ ও অরিজিৎ ভদ্রকে প্রাণভরা আশীর্বাদ জানাই, বিশ্বজুড়ে করোনা-আক্রমণকে তোয়াক্কা না করে একেনবাবু সমগ্র-র পঞ্চম খণ্ড প্রকাশ করতে উদ্যোগী হয়েছে। ভবিষ্যৎ বলবে সেটা সাহস, না দুঃসাহস।