ইংরেজি সাহিত্যের ইতিহাসে টেড হিউজ (১৯৩০-১৯৯৮) অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি, লেখক ও অনুবাদক হিসেবে অবিস্মরণীয়। তিনি ছিলেন একাধারে প্রকৃতির কবি, পরিবেশবাদী কবি, পশুপাখি প্রেমিক কবি এবং শিশুদের কবি। রাজকবি উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থের পর তাঁকেই প্রকৃতির কবি বলা হয়ে থাকে। তবে এক্ষেত্রে দু’জনের দর্শন আলাদা। রাজকবি ওয়ার্ডওয়ার্থের লক্ষ্য ছিল সকল মানুষ যাতে প্রকৃতির মনোরম সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন সে জন্য প্রকৃতিকে সংরক্ষণ করা। শত বছর পরের রাজকবি টেড হিউজের লক্ষ্য ছিল ধরিত্রীকে দূষণের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য প্রকৃতি ও পরিবেশকে সংরক্ষণ করা। পরিবেশ আন্দোলনের কৌশল হিসেবে তিনি সুপরিকল্পিতভাবে শিশুদের জন্য লেখালেখির পাশাপাশি বেশ কিছু সামাজিক কর্মকা- পরিচালিত করেছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য প্রকৃতি ও জীববৈচিত্রের সঙ্গে শিশুদেরকে পরিচিত করার বিকল্প নেই। তাঁর আয়োজিত কর্মসূচির আওতায় শহরের শিশুরা গ্রামে এসে দিনব্যাপী গ্রামের প্রকৃতি - মাটি ও মানুষের সঙ্গে পরিচিত হতো। তিনি পশুপাখি, ফুল, কীটপতঙ্গ ও প্রকৃতির বিভিন্ন রূপ নিয়ে ১৬টি শিশুতোষ গ্রন্থ রচনা করেছেন। যার মধ্যে হাউ দ্য হোয়েল বিকেইম এন্ড আদার স্টোরিজ (১৯৬৩) অন্যতম। বইটিতে ১১টি প্রাণীর বৈশিষ্ট্য নিয়ে ১১টি গল্প রয়েছে। কবি তাঁর অসাধারণ সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী শক্তি দিয়ে শিশুকিশোরদের উপযোগী করে গল্পের কাহিনী নির্মান করেছেন। প্রত্যেকটি গল্প একটি শক্তিশালী উপখ্যান। যে কোনো পাঠক গল্পগুলো পড়ে ১১টি প্রাণী সম্পর্কে চমৎকার ধারণা পেতে পারেন।