গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক-এর দ্বিতীয় বক্তৃতার আয়োজন হয়েছিল অনুষ্টুপ-এর সৌজন্যে ২০১৮ সালের ১৯ নভেম্বর নন্দন প্রেক্ষাগৃহ-১, সন্ধে ছ'টায়। এই বক্তৃতার উপলক্ষ্য ছিল দার্শনিক দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়ের জন্মশতবর্ষ। এর আগে তিনি অনুষ্টুপ আয়োজিত প্রথম বক্তৃতা দিয়েছিলেন ২০১৭ সালের ১৪ জুন আশুতোষ স্মৃতি শতবার্ষিকী সভাগৃহে। এই সভাগৃহে বসে এবং দাঁড়িয়ে বড়োজোর পাঁচশো দর্শক ও শ্রোতার স্থান সংকুলান হতে পেরেছিল। বহু আমন্ত্রিত অতিথি সেই অনুষ্ঠানে স্থানাভাবে থাকতে পারেন নি। ভারতীয় জাদুঘর-এর অধীন এই সভাগৃহটির কর্তৃপক্ষ চেয়ার ও অডিয়োর ব্যবস্থা করার ফলে বহু আগ্রহী শ্রোতা বাইরে বসেই তাঁর বক্তৃতা শুনেছিলেন। এমনকী ধৃতিমান (সুন্দর) চট্টোপাধ্যায়, চিন্ময় গুহ এবং কয়েকজন উপাচার্যও বাইরে বসেই বক্তৃতা শুনেছিলেন। ২০১৭ সালের জুন মাসে 'গণতন্ত্রের রহস্য' শীর্ষক বক্তৃতাটি ইতিমধ্যেই পুস্তক-আকারে প্রকাশিত হয়েছে। সমর সেন উত্তর-শতবার্ষিকী এই বক্তৃতাটিতে গণতন্ত্র ও ভোট ইত্যাদি প্রসঙ্গ ছাড়াও শিক্ষা বিষয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন গায়ত্রী। বলা বাহুল্য, মার্কসীয় দর্শন ও মার্কসের লেখার অনুবাদ নিয়েও বেশ কিছু বিষয়ে আলোকপাত করেছিলেন। গায়ত্রী সম্পর্কে এই অনুষ্ঠানে বেশ কিছু প্রয়োজনীয় কথা বলেছিলেন কবি শঙ্খ ঘোষ। সভামুখ্য সুপ্রিয়া চৌধুরীর বক্তব্যের পরে সমাপ্তি কথা বলতে গিয়ে তাঁর বক্তৃতার বিষয়টি নিয়ে অনেক জরুরি কথা বলেছিলেন গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক। এই বক্তৃতা যখন গণতন্ত্রের রহস্য শীর্ষক বই হিসাবে প্রকাশিত হলো তখন দেখা গেল পাঠকের সুবিধার্থে তথ্যসূত্র সংযোজন করা বিশেষ আবশ্যক। তথ্যসূত্রগুলিও বইটিতে সংকলিত হয়েছিল। এই গ্রন্থেও তথ্যসূত্র বক্তা নিজেই দেখে সংশোধন করে দিয়েছেন। সংক্ষিপ্ত পরিচিতিও ছাপা হয়েছে বক্তার অনুমতিক্রমে।