লেখকের কথা বাংলাদেশ কৃষি নির্ভর দেশ। এদেশে কৃষি উন্নয়নের অন্যতম প্রাকৃতিক শক্তি মাটি। মাটি-ই হল উন্নয়নের মূল। কেননা এই মাটির স্বাস্থ্য ভাল হলে সামগ্রিক কৃষি পরিবেশ উন্নত হবে এবং ফসলের কাঙ্খিত ফলন, উৎপাদন ও গুনগতমান নিশ্চিত হবে। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখেই আমার এই বইটি লেখা। এই বইটি পাঠ করে মাটি, মাটির স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পর্কে সম্যক ধারনা পাওয়া যাবে। এ বইটিতে মোট এগারোটি অধ্যায় রয়েছে। অধ্যায়সমূহ হচ্ছে-
১. মাটি ২. ভূমিও ভূমি শ্রেণি ৩. মৃত্তিকা ও কৃষি পরিবেশ অঞ্চল ৪. মাটির অম্লমান ৫. মাটির স্বাস্থ্য ৬. মাটির পরিবেশ ৭. মাটির পরীক্ষা ৮. মাটি ও পুষ্টি উপাদান ৯. মাটি ও সার ১০. মাটির স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সংরক্ষণ ১১. মৃত্তিকা স্বাস্থ্য নীতি
সময় স্বল্পতার কারণে যদিও অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য/ উপাত্ত দেয়া হয়নি, তথাপিও এ বইটি পাঠ করে উপকৃত হবেন। এখানে উল্লেখ্য যে, এই বইটিতে মাটি স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সংরক্ষণ করে কিভাবে অধিক ফসল উৎপাদন ও দারিদ্র্য বিমোচন করা যায় যে সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। এ বইটি লেকার যাঁরা উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন- তাঁদের মধ্যে বিশেষ করে ড. মোঃ শহিদুল ইসলাম, ডিজি, বারি; অধ্যাপক ড. এ.জে.এম. সিরাজুল করিম আমি তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞ।
লেখক কৃষিবিদ ড. আনিছুর রহমান প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট কৃষি মন্ত্রণালয়, কৃষি খামার সড়ক ঢাকা-১২১৫।
ড. মোঃ আনিছুর রহমান (১৯৬৬-) পটুয়াখালী জেলাধীন বাউফল উপজেলার সূর্যমণী ইউনিয়নের রামনগর (রহমতনগর) গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মরহুম মোঃ দলিল উদ্দিন আহমেদ ও মিসেস সাফিয়া বেগমের তৃতীয় পুত্র। তিনি ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হতে বি.এসসি কৃষি (অনার্স) ডিগ্ৰী অর্জন করেন। পরবতীতে ১৯৯৪ সালে ইনস্টিটিউট অব পোষ্ট-গ্রাজুয়েট স্টাডিজ-ইন-এগ্রিকালচার হতে মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিষয়ে এম.এস ডিগ্ৰী অর্জন করেন। এরপর সামার, ২০০০ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হতে পি.এইচ.ডি ডিগ্ৰী অর্জন করেন। তিনি দীর্ঘ সাড়ে আট বছর কলেজে কৃষি শিক্ষা বিভাগে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। শিক্ষকতা পেশায় কর্মরত থাকা অবস্থায়ই তিনি কৃষি বিষয়ক বিভিন্ন লেখালেখিতে জড়িত ছিলেন। ড. মোঃ আনিছুর রহমান পরবতীতে ২০০১ সালের জানুয়ারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন এবং একই বছর নভেম্বর মাসে প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পদে উন্নত হন। তার প্রকাশিত গবেষনাপত্রসহ মোট সায়েন্টিফিক প্রবন্ধের সংখ্যা ৩৫টি। এছাড়াও জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বাের্ড কর্তৃক অনুমোদিত উচ্চমাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যসূচি অনুসরণে উচ্চ মাধ্যমিক কৃষি শিক্ষা প্রথম পত্র ও দ্বিতীয় পত্র নামে দু'টি বই প্রকাশিত হয়েছে এবং প্রান্ত প্রকাশন থেকে আরো ১১টি কৃষি বিষয়ক বই ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। তিনি শিল্প ব্যাংকের প্রাক্তন মহাব্যাবস্থাপক মরহুম নূরুন নবী এবং অধ্যাপিকা বেগম আখতার জাহানের বড় জামাতা। তার সহধর্মিনী বেগম ইসরাত জারীন রাজউক। উত্তরা মডেল কলেজে ভূগোল বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। ড. রহমান সকলের দোয়া প্রার্থী।