জ্যোতির্বিজ্ঞানের ধারাবাহিক ইতিবৃত্ত রচনা করা খুব কঠিন কাজ। কারণ জ্যোতির্বিজ্ঞানের উৎস সম্পর্কে কোনো প্রামাণ্য তথ্য পাওয়া যায় না। পাওয়া সম্ভবও নয়। তাই অনিচ্ছা সত্ত্বেও অনুমানের ওপর নির্ভর করতে হয়। তবে এক্ষেত্রে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধান। বিভিন্ন দেশের প্রত্নতত্ত্ববিদরা নানা অনুসন্ধান করে মোটামুটিভাবে একটা গ্রহণযোগ্য সিদ্ধান্তে পৌঁছোতে পেরেছেন। তাঁরা বলছেন, শ্রীকৃষ্ণের জন্মের প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে, অর্থাৎ আজ থেকে সাত হাজার বছর আগে জোতির্বিজ্ঞানের জয়যাত্রা সূচিত হয়েছিল। তখন মানুষ সবেমাত্র অরণ্যজীবন ত্যাগ করে কৃষিজীবনে মন দিয়েছে। তাকে আর খাদ্যের সন্ধানে যাযাবর হয়ে এখান থেকে সেখানে ঘুরতে হচ্ছে না। সে সুখী, সমৃদ্ধ, সংসারী হবার চেষ্টা করেছে। ঠিক এই সময়ে জ্যোতির্বিজ্ঞানের পথে তার পদক্ষেপ আঁকা হয়। জ্যোতির্বিজ্ঞানকে ইংরাজি ভাষায় Astronomy বলা হয়ে থাকে। এই শব্দটি হচ্ছে প্রাচীন গ্রিক শব্দ Astron থেকে। এর অর্থ হল নক্ষত্র বা তারা। তবে জ্যোতির্বিজ্ঞান কিন্তু শুধুমাত্র নক্ষত্রজগৎ সংক্রান্ত শাস্ত্র নয়। এর পরিধি অনেক বড়ো। আকাশে যে সমস্ত বস্তুকে আমরা দেখতে পাই, যেমন ধূমকেতু, সূর্য- তাদের নিয়েই জ্যোতির্বিজ্ঞানের জগৎ গড়ে উঠেছে।