ফ্ল্যাপে লেখা কথা ছোট বেলার কথা, বিশেষ করে আমার জন্মস্থান বান্দরবানের অনেক কথা, এই বইতে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। সে হিসেবে বইটি আমার স্মৃতিকথা। আমি নিজেও কোন দিন চিন্তা করিনি জীবনের এসব আড়মোড় একদিন কলমের আঁচড়ে উঠে আসবে। তাহলে সন তারিখ, দিনক্ষণ লিখে রাখতাম। এমন হলে এসব লেখার একটা ঐতিহাসিক ভিত্তিও হয়ত তৈরী হতো। আবার সঠিক দিনক্ষণ প্রদান না করলে পাঠক আরো বিভ্রান্তিতে পড়বেন। তাই আন্দাজ করে কোন সাল বা তারিখ দেয়া থেকে বিরত রয়েছি।
এ সবই আমার একান্ত নিজের কথা। শৈশব, কৈশোর এবং চাকুরী জীবনের ঘটনাগুলোকে গল্পাকারে সাজানো হয়েছে। বন্ধু-বান্ধব ও বড়জনদের অনেক কথা এখানে চলে এসেছে। কাউকে আহত করার জন্য কিছু লেখা হয়নি। চাকুরী জীবনের পড়ন্ত বেলায় লেখার স্পৃহা জাগে। লিখেছি সরল সহজ ভাষায়। যা অতীত হয়েছে তা শেষ হয়ে গেছেÑ ফিরে আসবেনা কোন দিন। তাই অতীত সব সময়ই গৌণ-ধূসর।
পাঠকদের আনন্দই আমার সুখ।
মোঃ বজলুর রশীদ ঢাকা।
ভূমিকা ছোট বেলার কথা, বিশেষ করে আমার জন্মস্থান বান্দরবানের অনেক কথা, এই বইতে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। সে হিসেবে বইটি আমার স্মৃতিকথার খন্ডচিত্র। আমি নিজেও কোন দিন চিন্তা করিনি জীবনের এসব আড়মোড় একদিন কলমের আচঁড়ে উঠে আসবে। এটা ‘হর রোজ হর ওয়াক্তের’ কথা নয়। তাহলে সন তারিখ, দিনক্ষণ লিখে রাখতাম। এমন হলে এসব লেখার একটা ঐতিহাসিক ভিত্তিও হয়ত তৈরী হতো। নতুন প্রজন্মের উৎসাহী পাঠকদের অনেক তথ্য জানার সুযোগ হত। আবার সঠিক দিনক্ষণ প্রদান না করলে পাঠক আরো বিভ্রান্তিতে পড়বেন। তাই কোন লেখায়, আন্দাজ করে কোন সাল বা তারিখ দেয়া থেকে বিরত রয়েছি।
বইয়ের সবই আমার একান্ত নিজের কথা। শৈশব, কৈশোর এবং চাকুরী জীবনের কিছু ঘটনাকে গল্পাকারে সাজানো হয়েছে। বন্ধু-বান্ধব ও বড়জনদের অনেক কথা এখানে চলে এসেছে। কাউকে আহত করার জন্য কিছু পরিবেশন করা হয়নি। চাকুরী জীবনের পড়ন্ত বেলায় লেখার স্পৃহা জাগে। লিখেছি সরল সহজ ভাষায়। লেখা গুলো কোনো ধারাবাহিক রচনা নয়। যা অতীত হয়েছে তা শেষ হয়ে গেছে- ফিরে আসবেনা কোন দিন। তাই অতীত সব সময়ই গৌণ-ধূসর। ধূসর অতীতের আরো প্রচুর লেখা অসম্পূর্ণ রয়েছে। যে গুলো শেষ হয়েছে সেগুলোই একটি বই হয়ে যায় বিধায় পাঠক ও প্রকাশকের জোর তাগিদে বই আকারে প্রকাশ করা হলো। সময় সুযোগ হলে দ্বিতীয় খন্ড প্রকাশ করা হবে।
মাসিক চিম্বুক পত্রিকার সম্পাদনা পরিষদের অনুরোধে অনেক সময় পত্রিকায় প্রকাশের জন্য তাড়াহুড়ো করে অনেক লেখা শেষ করতে হয়েছে। তাই কোথাও কোথাও আমার কাছেই আগোছাল মনে হয়েছে। বই আকারে প্রকাশের সময় এত লেখা তন্ন তন্ন করে দেখে প্রেসে দেয়া সম্ভব হয়নি। এই ত্রুটির জন্য দুঃখিত।
বরাবরের মত কম্পোজের কাজে আমার দু’সন্তান সাদী ও জামী প্রচুর সহায়তা করেছে। আমার চাচাতো ভাই জহির উদ্দিন পান্ডুলিপির প্রুফ দেখেছে; প্রকাশক মোঃ আমিনুর রহমান আমিন শত ব্যস্ততার মাঝে অব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বইটি ছেপেছেন। তাদের সবাইকে জানাই ধন্যবাদ।
মােঃ বজলুর রশীদ ১৯৫৪ সনের ২৮ ফেব্রুয়ারী বান্দরবান জেলায় সম্ভান্ত রশীদ পরিবারে জন্মগ্রহন। করেন। ছােটবেলার পাঠ শেষে তিনি বান্দরবান সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় ও পরে রাঙ্গামাটি সরকারী ইংলিশ হাইস্কুলে লেখাপড়া করে কৃতিত্ত্বের সাথে এস এস সি পাশ করেন। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ শেষে তিনি ১৯৮৩ সালের ১লা সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের প্রশাসন ক্যাডারে যােগদান করেন। উপজেলা ও জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে তিনি টেকনাফ, আনােয়ারা, হবিগঞ্জ, চট্রগ্রাম, ফেনী, ছাগলনাইয়া, রাউজান, রাঙ্গামাটি, জুরাছড়ি, খাগড়াছড়ি, মহালছড়ি, কক্সবাজার, পটুয়াখালীতে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে উপ-সচিব হিসেবে তিনি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে, বিশেষত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি সরকারের একজন যুগ্ম সচিব হিসেবে পিআরএল ভােগ করছেন। তিনি দেশে বিদেশে বহু ইন সার্ভিস প্রশিক্ষণ গ্রহন করেছেন এবং বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে অতিথি বক্তা হিসেবে পাঠ দান। করছেন। ছাত্রজীবনে বিভিন্ন নামী পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকীতে লিখেছেন। চাকুরী জীবনেও গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টেশনের কাজ করেছেন। বর্তমানে তিনি কোরিয়ান এ্যালুমনাই এসােসিয়েশনের পক্ষে ইংরেজী ত্রৈমাসিক নিউজ লেটার সম্পাদনা করেন। ইতিমধ্যে তাঁর আটটি বই প্রকাশিত হয়েছে। আরাে একটি প্রকাশের অপেক্ষায়। দরিদ্র জনপদের উন্নয়নের উপর কিছু লেখা আন্তর্জাতিক মাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে। তিনি বাংলা একাডেমীসহ কয়েকটি সাহিত্য-সাংস্কৃতি-সেবা সংগঠনের জীবন সদস্য।