বিজ্ঞানময় আল-কোরআন মানবজাতির মুক্তিরসনদ। এটা সর্বকালের ও সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ ঐশীগ্রন্থ। এতে মানবজীবনের মৌলিক সমস্যাগুলোর প্রকৃত সমাধান পেশ করা হয়েছে। তা ছাড়া জাগতিক সকল সৃষ্টির বিজ্ঞানভিত্তিক বর্ণনা রয়েছে এই কুরআনে ।আর উক্ত কুরআনকে সহজে উপলব্ধি করার জন্য এবং ক্রমান্বয়ে অধ্যয়ন করার সুবিধার্থে সুরা এবং আয়াতে বিভক্ত করে দিয়েছেন। যার ফলে মানুষ সহজে কোরআন অধ্যয়ন করে তা অনুধাবন করতে পারে। এবং বাস্তব জীবনে তার প্রতিফলন ঘটাতে পারে। এ সকল কারনেই এ পৃথিবীতে আল-কোরআন সর্বাধিক পঠিত ও গবেষণার উৎস। অন্যান্য আসমানী কিতাবের ন্যায় মহাগ্রন্থ পবিত্র আল-কোরআন একেবারেই নাযিল হয়নি,বরং মহানবী (সঃ) এর নবুয়তি জীবনের সুদীর্ঘ তেইশ বছরে প্রয়োজন অনুসারে অল্প অল্প করে জিব্রাইল আমীনের মারফতে ওহীর মাধ্যমে অবতীর্ন করেন। এ প্রক্রিয়ায় কোরআন অবতীর্ন হওয়ার মাঝে নিঃসন্দেহে মহান আল্লাহর অপার হেকমত নিহিত ছিল। সুতরাং কুরআনের উপর আমলকারীদের এর সুরা বা আয়াত অবতীর্নের কারন সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা প্রয়োজন,যা থেকে বহুবিধ উপকারীতা লাভ করা যায়। এই কুরআন যেহেতু আরবী ভাষা-ভাষীদের উপর নাযিল হয় তাই তাতে যবর যের ইত্যাদি ছিল না। পরবর্তীতে অনারবদের পড়ার ও বুঝার সুবিধার্থে যবর-যের ইত্যাদি সংযোগ করে আমাদের জন্য আরো নেয়ামতপুর্ণ করে তোলা হয়।