সমাজের সংগতি অসংগতি, পারিবারিক বৈপরিত্য, ধর্মীয় অনুভূতি, ক্ষোভ, ঘৃণা, সহানুভূতি, সহমর্মিতা ও ভালোবাসার গভীর উপলব্ধি থেকে কবি মননে যে গভীর অনুভূতির উদয় হয়েছে তা সৃষ্টির পারঙ্গমতায় কলমের কালিতে ও কন্ঠের যাদুতে উপস্থাপন করতে সমর্থ হয়েছি। তাই তো সমাজে চলে বলে শিখে লিখতে বাধ্য হলাম- 'সভ্যতার লেবাসে বর্ববতার যুগে বসবাস মুখের ভেতর মুখোশের রাজত্ব'। কিংবা 'লজ্জার লুণ্ঠনে গর্ব নেই, আছে লজ্জার হেফাজতে। মানবতার বিসর্জনে কোনো দম্ভ নেই আছে উন্নত বিবেক আর জাগ্রত মানবতায়'। আবার ধ্বংসের পৈশাচিকতা দেখতে দেখতে কবি মন আক্ষেপ নিয়ে বলে- 'হে সমগ্র বিশ্ব পরাশক্তি তোদের বলছি- পারলে একজন, হ্যাঁ শুধু একজন মানুষ সৃষ্টি কর'। এই মানুষ ও প্রকৃতিকে ভালোবাসি অন্ধের মতো তাই স্রষ্টার কঠিন বাস্তবতাকে অনুধাবন করে আবেগ নিয়ে বলি 'ভারাক্রান্ত মনে চলে যেতে হবে, একা ওপাড়ে তোমরা যদি বেঁচেও থাকো, ভালো থেকো এপাড়ে'। আপনাকে চিনতে পেরেছি বলেই নিজের উপর রয়েছে অগাধ আস্থা ও বিশ্বাস, তাই পাছ কথায় কান না দিয়ে কারো প্রতি অসন্তোষ না রেখে প্রসন্নচিত্তে বলতে পারি- 'দ্বন্দ নয় ঝগড়া নয় না পুষি মনে কষ্ট আমি কবি আমরাই সত্য বলতে পারি স্পষ্ট। তুমি কবি, আদি নও তবে অনন্ত সৃষ্টির মাঝে মহাকালে চিরজীবন্ত'। আপন কবি হৃদয় বেঁচে থাকুক সৃষ্টিতে, তুষ্ট থাকুক প্রাপ্তিতে আর দিন শেষে নির্দ্বিধায় বলতে পারি। 'সুস্থ ভাবের স্বচ্ছ বিবেক স্পষ্টবাদিতা যা সব তোমার নিয়ন্ত্রণ যেভাবেই বাঁচি কোটি শুকরিয়া নেই বিন্দুও অপ্রাপ্তির দহন'।