রাজনীতির সঙ্গে সঙ্গে লেখালেখি শুরু স্বাধীনতা, আজকাল, কালান্তর, গণশক্তি ও অন্যান্য লিটল ম্যাগাজিন ও পত্র-পত্রিকায়। তাঁর উপন্যাস-ছােটগল্প-প্রবন্ধ-পর্যটন-রিপাের্টাজ, ইতিহাসের কাহিনী, অনুবাদ-বিচিত্র রচনাসম্ভার ছড়িয়ে আছে ইতিপূর্বে প্রকাশিত ১৮টি গ্রন্থে। তাঁর প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ ‘নির্বাপিত সূর্যের সাধনা প্রকাশিত হয় ১৯৬৭ সালে। পারমাণবিক শক্তি ও অস্ত্রের বিকাশ সম্পর্কে বাংলা ভাষায় প্রথম প্রামাণিক গ্রন্থ প্রকাশিত শেষ উপন্যাস দুটি ‘জিভূমি' (২০০৬) ও উহারা (২০০৭), জীবিতকালে সর্বশেষ প্রকাশিত গ্রন্থ ‘কোথায় ঘােড়সওয়ার' - আত্মজীবনীমূলক রাজনৈতিক স্মৃতিকথা। তাঁর উপন্যাস মানুষের রং’-এর জন্য ত্রিপুরা সরকারের অদ্বৈত মল্লবর্মণ স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার পান। তাঁর প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘বন্ধনকাল' ১৯৮৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। দ্বিতীয় গল্প-সংকলন কলকাতা বইমেলায় প্রকাশিত হয় জ্যোতিপ্রকাশ চট্টোপাধ্যায়ের ছােটগল্প' ১৯৯৮ সালের জানুয়ারিতে এবং তৃতীয় গল্প-সংকলন- 'যমুনাবতী সরস্বতী ও অন্যান্য গল্প' ২০০১ সালের বইমেলায় প্রকাশিত। তাঁর প্রয়াণের পর জানুয়ারি ২০০৯-এ প্রকাশিত সংকলন-গ্রন্থ ‘নির্বাচিত জ্যোতিপ্রকাশ’ গ্রন্থে বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত মােট দশটি গল্প সংকলিত হয়। এছাড়া নির্বাচিত জ্যোতিপ্রকাশ’ গ্রন্থে ‘তিতিরের গল্প' নামে আত্মজৈবনিক স্মৃতি-চিত্রের অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। যাতে ডায়েরি ও ছােটগল্পের মিশ্র আস্বাদন পাঠক পেতে পারেন। 'জ্যোতিপ্রকাশের গল্প'- এই সর্বশেষ গল্প সংকলন গ্রন্থে ১৯৭২ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত প্রায় ছত্রিশ বছর ধরে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত মােট ৩৭টি গল্প প্রকাশিত হল—যা এযাবৎ ওঁর কোনাে গল্প-সংকলনে অন্তর্ভুক্ত হয়নি। সামগ্রিকভাবে গল্পকার জ্যোতিপ্রকাশের একটি প্রায় পূর্ণাঙ্গ অবয়ব এতে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে পাঠকের জন্যে।