ফ্ল্যাপে লিখা কথা মহাবিশ্বের উৎপত্তি, বিকাশ ও বিবর্তনের সাথে স্থান ও কালের সম্পর্ক কেমন? জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা হাজার হাজার বছর ধরে এর সমাধান খুঁজে বেড়াচ্ছেন। আজো চলছে এ নিয়ে বিস্তর গবেষণা। স্থিতিকালের পরম মান, গতি ,বল, বস্তুপিণ্ডের ত্বরণ, মহাকর্ষীয় শক্তি ও বিধি, মহাকর্ষণ নীতি, আলোকের গতিশক্তি, আলোকের দ্রুতি, বেতার তরঙ্গ, সময়ের মাপ, সময়ের দুরত্ব, আলোকের রশ্মি, আলোক যাতায়াত, ঘটনা, অতীত আলোক শঙ্কু, ভবিষ্যৎ আলোক শঙ্কু,বৃহৎ বিস্ফোরণ, বৃহৎ সংকোচন, ব্যাপক অপেক্ষবাদ এবং মহাবিশ্বের প্রসারণ প্রভৃতি বিষয়ে বিজ্ঞানীরা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করছেন। তারা মহাবিশ্বের অবস্থানগত দিক ও কালের ধারণা এঁকেছেন গবেষণা ও পর্যবেক্ষণ দিয়ে। তবে অধিকাংশ বিজ্ঞানীরা আজ এক মত হয়েছেন যে, আমাদের এই মহাবিশ্ব সব সময়ই বর্তমান নয়। বরং একটি নিদির্ষ্ট সময়ে এর উৎপত্তি হয়েছে, আর তা ঘটেছে মাত্র কয়েক মিনিটে। যাকে তারা বলেছেন ‘বিগব্যাং’। এখানেই শেষ নয়, এই মহাবিশ্বের একদিন অবশ্যই সমাপ্তি ঘটবে। অর্থ্যাৎ ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে। চলে যাবে ব্ল্যাকহোলে। আর এই মহাবিশ্বের পরিণতি আমাদের আনন্দের নয়, দুঃখের। বিজ্ঞানীরা এমনটিই ভাবছেন। তাছাড়া স্থানের ধারণায় আমরা জাহনতে পারছি যে, এই মহাবিশ্ব প্রতি মুহূর্ত কোটি কোটি মাইল প্রসারিত হচ্ছে। এ তথ্যের আবিষ্কার বিংশ শতাব্দীর বৌদ্ধিক বিপ্লবগুলোর মধ্যে অন্যতম । বিজ্ঞানীরা আরো বলছেন যে, এই প্রসারণ যদি যথেষ্ট শ্লথ গতিতে হয়ং তাহলে শেষ পর্যন্ত মহাকর্ষীয় বল প্রসারণ বন্ধ করবে এবং তারপর শুরু হবে সংকোচন। কিন্তু কএ প্রসারণ যদি একটি বিশেষ ক্রান্তিক হারের চেয়ে বেশি হয় তাহলে মাহকর্ষীয় বল এমন শক্তিশালী হবে না যে প্রসারণ বন্ধ করতে পারে এবং মহাবিশ্ব চিরকাল প্রসারণশীলই থাকবে। তবে বিজ্ঞানীদের নানান ভাবনা আর যুক্তি তর্কের শেষ নেই। সিদ্ধান্ত থেকে বার বার সরে আসাও তাই একটি স্বাভাবিক বিষয় এবং নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। মহাবিশ্বের স্থান ও কালের ধারণার বিভিন্ন দিকই এ বইয়ে সন্নিবেশ করা হয়েছে। এতে সময় ও স্থান বিষয়ে বিভিন্ন জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মতামত ও তার ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ দেওয়া হয়েছে।
সূচিপত্র * জাগতিক ধারণায় মহাবিশ্বের স্বরূপ * সম্ভাবনাময় সমান্তরাল মহাবিশ্ব * মহাবিশ্ব মহাজগতের মহাকাশে * সৃষ্টির সূচনায় মহাবিশ্বের স্বরূপ * গামা রশ্মির বিস্ফোরণ এবং মহাবিশ্ব * অসীম শূন্যতায় আন্তঃনাক্ষত্রিক জগত * বহূ দূরের গতিশীল মহাবিশ্বসমূহ * মহাবিশ্বের গতি, স্থা্ন এবং সময়ের ধারণা * মহাবিশ্বের প্রসারণ এবং সংকোচন * অনিশ্চয়তার নীতি এবং মহাবিশ্বের প্রতিরূপ * ইলেক্ট্রন, প্রোটন ও কর্ক * মহাবিশ্বের সৃষ্টি, বিবর্তন এবং ভাগ্য * মহাবিশ্বের কাল, সময় এবং সীমান্ত * ধ্বংসের মুখোমুখি আমাদের পৃথিবী * সৌরজগতের ভবিষ্যৎ এবং সাদা বামন * পৃথিবীর রূপ এবং টাইটান উপগ্রহ * গ্যালাক্সিসমূহের পরিণতি ও একীভূত অবস্থা * ব্ল্যাকহোলের জন্মের প্রত্যক্ষ সাক্ষ্য বিবর্তনের মূলমন্ত্রে মৃত্যু ও সময় * সহায়ক গ্রন্থপঞ্জি (বাংলা) * সহায়ক পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী * Reference Books (English) * জ্যোতির্বিজ্ঞান বিষয়ক ইন্টারনেটের ঠিকানা * টীকা (Notes) * বাংলা বিজ্ঞান শব্দকোষ * কয়েকজন পদার্থবিদ ও জ্যোতির্বিজ্ঞানী
খায়রুল আলম মনির একজন লেখক, গবেষক ও বিজ্ঞান বিষয়ক বই লেখার জন্য বাজারে বেশ আলােড়ন সৃষ্টি করেছে। তিনি বয়সে একেবারে তরুণ । খুব অল্প সময়ের মধ্যে এতােগুলাে গ্রন্থ রচনা সত্যিই বিস্ময়কর। খায়রুল আলম মনির পড়াশােনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৯৯৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে বি.এস.এস সম্মান এবং ১৯৯৫ সালে একই বিষয়ে এম.এস.এস ডিগ্রি অর্জন করেছেন। এছাড়াও বেশ কয়েকটি একাডেমিক ডিগ্রি অর্জন করেছেন কৃতিত্বের সাথে । ভ্রমণ করেছেন বেশ কয়েকটি দেশ। তার মৌলিক রচনা প্রায় অর্ধশত। তার রচিত গ্রন্থাবলির মধ্যে রয়েছে- ‘জীবনের জন্য বিজ্ঞান : ছােটদের বিজ্ঞান নিয়ে খেলা আধুনিক বিশ্বের বিজ্ঞান : বিজ্ঞান নিয়ে ভাবনা’ সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে।