বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির চরম উৎকর্ষের একবিংশ শতাব্দীর প্রথম দশক অতিক্রান্ত হলো। কিন্তু বিজ্ঞানীরা আজ পর্যন্ত মহাবিশ্বের অন্য কোনো গ্রহে প্রাণের কোনো নিশ্চিত সন্ধান দিতে পারেন নি। আজ পর্যন্ত এ প্রসঙ্গে যা বলা হয়েছে তার সবই অনুমান এবং যুক্তি নির্ভর। অনেক অকাট্য যুক্তি থাকলেও তা যে চিরস্থায়ী নয়, সে কথাও ঠিক। আর তাই সত্যিই আমাদের এই পৃথিবী নামক গ্রহ বাদে অন্য কোনো গ্রহে মানুষ বা এ জাতীয় জীবের অস্তিত্ব আছে কি না, তা হন্যে হয়ে খুঁজছেন বিজ্ঞানীরা। অবশ্য প্রাণী থাকার বিষয়ে নিশ্চিত না হলেও ফ্লাইং সসার এবং এলিয়েন বিষয়ে অনেকের বদ্ধমূল বিশ্বাস রয়েছে যে, তারা এ মহাবিশ্বে রয়েছে। এদের অস্তিত্বের বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী অনেক সাক্ষ্যও গত শতাব্দীতে পাওয়া গেছে। ২০১০ সালের আগস্টে চীনেও ফ্লাইং সসার দেখার খবর পাওয়া গেছে। আর তাই কসমো বাইওলজি বিষয়টি আজ জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের কাছে একটি আন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যে, আমাদের মতো প্রায় দশ কোটিরও অধিক গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে। কেউ বলছেন যে, কমপক্ষে ১০ হাজার কোটি গ্রহে প্রাণ রয়েছে। তারা নানা ধরনের যুক্তি ও অবস্থার বর্ণনা উপস্থাপন করেছেন। তাদের কথাও অন্যান্য বিজ্ঞানীরা উড়িয়ে দিতে পারেনি। এমন কি স্টিফেন ডব্লিউ. হকিংও বহির্বিশ্বে প্রাণের অস্তিত্ব অস্বীকার করেন নি। বরং সম্ভাবনার কথা বলেছেন। কোনো কোনো বিজ্ঞানীর ধারণা, বহির্জাগতিক জীবেরা আমাদের চেয়েও হাজার হাজার গুণ বেশি বুদ্ধি সম্পন্ন। তাদের শারীরিক গঠন হয়তো আমাদের মতো না। তবে তারা যে বুদ্ধি সম্পন্ন তা সহজেই অনুমান করা যায়। এ গ্রন্থে বহির্জাগতিক জীব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। সেই সাথে জীবের বসবাসের জন্য যে ধরনের পরিবেশ ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা থাকা দরকার, তার বৈশিষ্ট্য ও সম্ভাবনার দিকগুলোর বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। আমাদের পৃথিবীবাসীদের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে বহির্জাগতিক জীব ও তার বিবর্তনের তুলনামূলক আলোচনাও করা হয়েছে। গ্রহে প্রাণের উৎপত্তি, বিকাশ, বিবর্তন ও তার পরিণতির সম্ভাব্য বিভিন্ন অবস্থাও সন্নিবেশ করা হয়েছে।
খায়রুল আলম মনির একজন লেখক, গবেষক ও বিজ্ঞান বিষয়ক বই লেখার জন্য বাজারে বেশ আলােড়ন সৃষ্টি করেছে। তিনি বয়সে একেবারে তরুণ । খুব অল্প সময়ের মধ্যে এতােগুলাে গ্রন্থ রচনা সত্যিই বিস্ময়কর। খায়রুল আলম মনির পড়াশােনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৯৯৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে বি.এস.এস সম্মান এবং ১৯৯৫ সালে একই বিষয়ে এম.এস.এস ডিগ্রি অর্জন করেছেন। এছাড়াও বেশ কয়েকটি একাডেমিক ডিগ্রি অর্জন করেছেন কৃতিত্বের সাথে । ভ্রমণ করেছেন বেশ কয়েকটি দেশ। তার মৌলিক রচনা প্রায় অর্ধশত। তার রচিত গ্রন্থাবলির মধ্যে রয়েছে- ‘জীবনের জন্য বিজ্ঞান : ছােটদের বিজ্ঞান নিয়ে খেলা আধুনিক বিশ্বের বিজ্ঞান : বিজ্ঞান নিয়ে ভাবনা’ সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে।