প্রথমবার বরফশীতের ভেতরে শরীর ছুঁয়ে যায় রূপচাঁদার মতো সিথেন চাঁদ, এসব দিনে তুলে রাখে সঙ্গীহারা হৃদয়, প্রতি পূর্ণিমা এবং শব্দহীন জ্যোৎস্না যেন মগ্ন পাখি কাঁটাময় ক্যাকটাস ফুল, দ্বিধাহীন অবসর—
এমন নির্বাসন শহরে ট্রেনের হুইসেল শোনো কি কলমাকান্দা, সকল জানালায় ওত পেতে মুখগুলো ছুঁয়ে যায় প্রথমবার দূরের স্বপ্ন, স্টেশনে ফেরার আত্মপ্রবণ অথবা আমৃত্যু প্রলোভনের শেষ ধারাপাত তুমি এলে শরীরে ফেরে জীবিত সুগন্ধি; সেসব বোধ হয়, যুক্তিহীন প্রশ্ন করো না! নিষিদ্ধ আনন্দ তোমার বিভ্রম ভেঙে গেলে পৃথিবী দেখাব এই আয়োজন দুলছিল এলার্ম ঘড়িতে একটা শিশু দৌড়াচ্ছে, ঠিক এই রকম— জেলপেনের মতো ফুসফুস, শৈশব এবং তৃষ্ণা লেপটে দিচ্ছে হরফ ত্বকের বুক
নিষিদ্ধ আনন্দ নিয়ে ফেরে—ধরো, ইশারা— সেসব বিকেল ফুরিয়ে গেলে নুনসন্ধ্যা হামাগুড়ি দিতে নৈঃশব্দ্য গজায়া ওঠে সুরের বাঁশি, ফেরত আসা সকল গান— রাত্রি নামলে কেবল সেন্টমার্টিন পাখি— অনির্দিষ্ট সুখ, দৃষ্টির প্রান্তরে দারুণ স্বর্গ একটি দূরগামী ট্রেন রাত্রি কুড়ানো গোধূলি পেরিয়ে নক্ষত্রগুলো বেপরোয়া ঝাঁপ দেয়—বৃষ্টির দিন। বদলায় এক্সরে ফ্লিমে তোমার ছবি দেখা যায় এর চেয়ে আর কোনও বড়ো রোগ নেই কেবল তুমি উড়ে যাচ্ছ, ফুরিয়ে যাচ্ছ বৈদ্যুতিক আলোর মতো; বিচ্ছিন্নভাবে একদম উৎখাত সুন্দর ব্যাপারটি নিয়ে টাটকা নিয়ম পালটে হাসছে, দিনগুলো। যা কিছু সংশয়ে গন্তব্য হয়ে ওঠে ব্রিজ পার হলে মালোপাড়ার চাঁদ কুয়াশা ভেজা ফরেস্ট সাইন, রোদ— ফের কাগুজের নৌকাডুবি ঢেউ জলজে মুদ্রিত হাওয়া, পরস্পর বৃষ্টি ফেরত আসে প্রশ্নবোধক ডাকনামে অথচ সব ছুতো একদিন ক্লান্ত হয়!