লেখকের দুটি কথা আল্লাহ তায়ালার শুরুর যে, জীবন উপকরণের সাথে সম্পৃক্ত, দেড় হাজারের অধিক শব্দাবলি, তরজমা ও ইনশা রচনা লেখার দিক নির্দেশনামূলক একটি গুরুত্বপূর্ণ কিতাব লেখে দরসে নেযামির গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজন পুরা করার সফলতা অর্জন হয়েছে। ইনশাআল্লাহ! এখন থেকে আমাদের শিক্ষা সিলেবাস অনুযায়ী “কানযুদ্দাকায়েক“ ক্লাসে তরজমা ও রচনা লেখানো সহজ হবে। বরং তরজমা ও অনুবাদ জগতে এর থেকে বিপুল পরিমাণ সাহায্য পাওয়া যাবে। সম্মানিত শিক্ষকগণ। শব্দগুলো শাব্দিক জ্ঞান থাকাই যেহেতু এই বিষয়ের লক্ষ্য উদ্দেশ্য। তাই শব্দকোষের প্রতি বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কিতাবের শুরুতে ছয়শতের বেশি শব্দার্থ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনীয় শিরোনামের অধীনে পৃথক পৃথক পাঠে, এগুলো থেকে উর্দূ বাক্য বানানো এবং উর্দু থেকে আরবি বাক্য বানানো হয়েছে এবং কখনো কখনো ছাত্রদের দ্বারা শব্দাবলীকে, ইবারতে ব্যবহার করার প্রয়োজন রয়েছে। মোটকথা বিভিন্ন পদ্ধতিতে তামরীন করানো আপনাদের দায়িত্ব। এক পাঠের শব্দাবলিকে বিভিন্ন পাঠে প্রয়োজন অনুপাতে ভাগও করা যেতে পারে। যদি সংক্ষিপ্ত করতে চান তাহলে একটি বাক্যের মধ্যে প্রচুর শব্দাবলী আনা যেতে পারে। যেমন আমি ডাকঘরে গিয়ে পিয়ন থেকে একটি খাম এবং কয়েকটি পোষ্টকার্ড কিনেছি। এর মধ্যে চারটি শব্দ এসেছে। কিতাবের শেষ অংশে, হরফে তাহাজ্জির সিরিয়াল অনুযায়ী আরবি থেকে উর্দু একটি লুগাত বা শব্দকোষ দেওয়া হয়েছে, যা একটি সংক্ষিপ্ত লোগাতের মত। এটি শুধু তামরীন ও বিশেষ প্রয়োজনের সময় ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয়েছে। এই অংশটিকে ছাত্রদের পরীক্ষা থেকে বাদ দেওয়া উচিত। কিতাবের মধ্যখানে তরজমামূলক পৃথক দরস উল্লেখ করা হয়েছে এবং রচনারও সংক্ষিপ্ত অংশ রাখা হয়েছে। রচনা লেখার পদ্ধতি ও তামরীন এর জন্য এই কিতাবের ২য় ও ৩য় খন্ড অনুসরণযোগ্য। মুহাম্মদ সুলতান যওক চাটগামী ১৪/১০/১৪০০ হিজরী