উইনচেস্টার পরিবার। শহরের সবচেয়ে বিত্তশালী আর ক্ষমতাবান পরিবারে গৃহপরিচারিকার কাজ পেয়ে ভীষণ খুশি হলো মিলি। পুরো নাম হোয়েলমিনা ক্যালোওয়ে মিলি। মিলি সুন্দরী, মিলি যুবতী, মিলি কুমারী। তার আরও একটা পরিচয় আছে সেটা আপনারা পরে জানতে পারবেন। উইনচেস্টার পরিবারের কর্তী নিনা উইনচেস্টার। তার স্বামী অ্যান্ড্রু উইনচেস্টারের মতো সুদর্শন পুরুষ এলাকায় আর নেই বললেই চলে। তারপরও মিলির মতো যুবতি একটা মেয়েকে গৃহপরিচারিকা হিসেবে কাজে নেয়া রহস্যজনক বটে। শুধু তাই নয়, এখন থেকে উইনচেস্টারদের বাড়িতেই থাকবে সে। কাজে যোগ দেয়ার আগে নিনার মধুর ব্যবহারে মুগ্ধ হয়েছিলো মিলি। কিন্তু ঐ বাড়িতে পা দেয়ার সাথে সাথেই বদলে গেলো নিনার আচরণ। মিলির সাথে যাচ্ছেতাই ব্যবহার করতে শুরু করলো সে। উইনচেস্টারদের একমাত্র বাচ্চা মেয়েটাও কম যায় না। ব্যতিক্রম কেবল অ্যান্ডু উইনচেস্টার। ক’দিন যেতে না যেতেই মিলি আবিষ্কার করলো এ বাড়িতে একটা ঘাপলা আছে। বাগানের মালি এনজো ইংরেজি বলতে পারে না। এ বাড়িতে প্রবেশ করার দিনই সর্তক করে দিয়েছিলো তাকে। পাত্তা দেয়নি মিলি। বেঁচে থাকার জন্য, অতীত ইতিহাস মুছে দেয়ার জন্য টাকার প্রয়োজন তার। রাতের বেলা উইনচেস্টারদের লিভিং রুম থেকে কার চিৎকারের শব্দ ভেসে আসে। চিলেকোঠার ঘুপচি ঘরে ঘুম আসে না মিলির। ঘরটার দরজায় ভেতর থেকে তালা দেয়ার উপায় নেই। ভয় লাগে মিলির। চিৎকারের আওয়াজ লক্ষ্য করে নীচে দোতলায় নামে সে। না নামলেই ভালো করতো। এখন আর ফিরে যাওয়ার পথ নেই। অবশ্য তারাও মিলির অতীত ইতিহাস জানে না। জানলে এ বাড়িতে কাজ দিতো না।